
উত্তর ২৪ পরগনা: কাউন্সিলর ঘনিষ্ট তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার। মঙ্গলবার পুলিশি অভিযানে পানিহাটি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দে-র ঘনিষ্ট তৃণমূল কর্মী নইম আলি ওরফে নেপালির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। স্টেন গান, পাইপ গান থেকে শুরু করে যুদ্ধে সেনার দ্বারা ব্যবহৃত নাইট্রো-অ্যামুনেশন কার্তুজের হদিশ মেলে সেখানে।
ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র ভান্ডারের ‘মালিক’ নেপালিকে আগরপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত হয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক, বিদেশি বন্দুকও। কিন্তু কীভাবে একজন সাধারণের কাছে এত অত্যাধুনিক অস্ত্রে বাহার থাকতে পারে? সন্দেশখালিতে যখন শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছিল, সেই সময় তদন্ত চালিয়ে এমন অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ভাণ্ডার খুঁজে বের করেছিল এনএসজি। সেই বারও একই ভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তৃণমূল।
মঙ্গলবার পানিহাটিতে নেপালির বাড়ি যেন সেই এক টুকরো সন্দেশখালি। সেখানে এনএসজি আসেনি। এসেছে রাজ্য পুলিশ। বের করেছে সারি সারি অস্ত্র। কিন্তু ঠিক কোন কাজে এই অস্ত্রের ভাণ্ডার তৈরি করেছিল নেপালি। সেই নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
এদিন পানিহাটি অস্ত্র-কাণ্ডে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘এই জায়গাটা গোটাটা অপরাধীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ওই খড়দাহে তৃণমূল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওখানে একটা বাড়িতে তৃণমূলের অপরাধীদের অনুমতি ছাড়া ইটও লাগাতে পারবেন না।’ অন্যদিকে, নেপালিকে দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘ওই লোকটা তৃণমূলের কোনও কর্মীই নয়। জেরা করলেই জানা যাবে, ও অর্জুন সিংয়ের লোক।’