নিউ টাউনে জোড়া খুন! ভাইকে ‘মেরে’ থানায় ছুটলেন দাদা

ট্যাক্স কনসালটেন্টের রক্তাক্ত দেহ ঘিরেও উঠছে নানা প্রশ্ন।

নিউ টাউনে জোড়া খুন! ভাইকে 'মেরে' থানায় ছুটলেন দাদা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 04, 2021 | 2:53 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: জোড়া খুনে চাঞ্চল্য নিউ টাউনে। একদিকে রাম মন্দির এলাকায় বছর চব্বিশের এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে ঝিল বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ট্যাক্স কনসালটেন্টের রক্তাক্ত দেহ। দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ।

নিউ টাউনের রাম মন্দির শুলুংগুড়ির বাসুদেব পাড়া। এখানকার বাসিন্দা সাধন ঘোষ ও মঙ্গল ঘোষ সম্পর্কে তুতো ভাই। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে শরিকি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁদের কাকা-জ্যেঠুরা একসঙ্গে আলোচনা করছিলেন।

এরপর বড়রা উঠে গেলে সাধন তাঁর বাড়ির সামনেই একটি বাঁশের মাচার উপর গিয়ে বসেন। অভিযোগ, হঠাৎই সেখানে হাজির হন মঙ্গল। অভিযোগ, কোনও কথা না বলে কোমর থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে অতর্কিতে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন সাধনকে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে মঙ্গল পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর নিজেই থানায় গিয়ে কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: করোনা-চিকিৎসায় নয়া দিশা দেখাবে অ্যান্টিবডির ‘আয়ু’র গবেষণা

অন্যদিকে ঝিল বাগানে উদ্ধার হয় ট্যাক্স কনসালটেন্ট রাজীব কুমার সিংয়ের রক্তাক্ত দেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন মেলে। যে বাড়ি থেকে রাজীবের দেহ উদ্ধার হয়, সেটি তাঁর বন্ধু রাকেশ ঝা-এর বাড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজীবের বাড়ি ফুলবাগানে হলেও বেশ কিছুদিন ধরে রাকেশের বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি।

রাজীবের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীর ব্যবসায়ী সহযোগী সুমন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে রাজীবের উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। টাকা ধার নেওয়া এবং অন্যান্য় ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ চাপানউতর ছিল। এদিকে রাজীবের নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল বলে ইকো পার্ক পুলিশ সূত্রে খবর। গ্রেফতারি এড়াতে রাজীব সুমনের বাড়িতেই থাকতেন। এদিন সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ।

কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বিধাননগরের ইকো পার্ক থানার পুলিশ এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ।