Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা-চিকিৎসায় নয়া দিশা দেখাবে অ্যান্টিবডির ‘আয়ু’র গবেষণা

এই গবেষণা আপনার দরজায় পৌঁছে দেবে করোনা ঘিরে বহু প্রশ্নের জবাব।

করোনা-চিকিৎসায় নয়া দিশা দেখাবে অ্যান্টিবডির 'আয়ু'র গবেষণা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2021 | 6:34 PM

সৌরভ দত্ত: আগ্রহের শেষ নেই অ্যান্টিবডির আয়ু নিয়ে। করোনার টিকার কার্যকারিতা নিয়েও বিতর্কের অন্ত নেই।‌ সেই বিতর্কে ইতি টানতে পারে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি এবং টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের যৌথ গবেষণা। টিকা নেওয়ার পরে সাধারণ মানুষের দেহে কী ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, সেই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কতদিন তার সন্ধানই এই গবেষণার লক্ষ্য।

কলকাতার পাশাপাশি আরও ছ’টি শহরে দু’বছর ধরে চলবে এই গবেষণা। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড বায়োলজি, চণ্ডীগড়ের ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোবিয়াল টেকনোলজি, লখন‌উয়ের সেন্ট্রাল ড্রাগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিডিআরআই), হায়দরাবাদের সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি ইনস্টিটিউট এবং পুনের ন্যাশনাল কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি। কলকাতায় এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সিএস‌আইআর-আইআইসিবি’র ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের তরফে রয়েছেন প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর-চিকিৎসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য, সৌম্যদীপ চট্টোপাধ্যায়।

ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় জানান, টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের কাজ এখন চলছে। সেখানকার ইচ্ছুকদের মধ্যে থেকে ২০০ জনকে গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার আগে প্রাপকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন ছিল, টিকা পরবর্তী পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়ল, তা দেখাই হল গবেষণার লক্ষ্য।

দীপ্যমানের কথায়, “টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সঙ্গে বাস্তবে তারতম্য ঘটতে পারে। টিকার রক্ষাকবচ দেওয়ার ক্ষমতা কতদিন তার উপরে নির্ভর করছে অতিমারির ভবিষ্যৎ। কী ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তার স্থায়িত্ব কতদিন, এ সকল প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি কোন সময়ে কী ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তা-ও বোঝা যাবে।”

আরও পড়ুন: সৌগত রায়দের গাজিপুর সীমানায় আটকাল পুলিশ

এ ধরনের ‘ইমিউনোলজিক্যাল রিসার্চ’ কতটা জরুরি সে প্রসঙ্গে সিএস‌আইআর-আইআইসিবি’র অধিকর্তা অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টিকার কার্যকারিতা বুঝতে এই গবেষণা সাহায্য করবে। টিকা নেওয়ার পরে আবার কারও কোভিড হলে বুঝতে হবে টিকা কাজ করেনি। সেটা অন্য কোনও স্ট্রেনের কারণে হল কি না তা বুঝতে আমরা জিনোম সিকোয়েন্স করব। ছ’মাসের মধ্যেই টিকা এবং সংক্রমণের গতিবিধি সম্পর্কে আভাস মিলবে বলে আমরা আশাবাদী।”