Murder Case: ‘মদ খাব টাকা দাও’, ‘না’ বলতেই পিটিয়ে খুন
Murder Case: এলাকার মানুষ তাঁদের দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাঁদের বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর আগে বলরাম বাছারের নাম বলতে পেরেছিলেন শুকদেব বাছার।
বসিরহাট: মদের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় পিটিয়ে খুন। মাঝরাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন দুজনে। তাঁদের তুলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার একজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মৃতের নাম শুকদেব বাছার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুকদেব বাছার বসিরহাটের একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করতেন। প্রতিদিনই রাত ১১ টার পর বাড়ি ফিরতেন তিনি। বাড়ি যাওয়ার পথে একটি মোড় পড়ে, যেখানে বলরাম বাছার সহ বেশ কয়েকজন যুবক বসে থাকেন প্রতিদিন। অভিযোগ, প্রায় দিনই বলরাম বাছার শুকদেবের কাছে টাকা চাইতেন। মদ খাওয়ার জন্যই ওই টাকা চাওয়া হত বলে অভিযোগ।
শুকদেব বাছার মাঝেমাঝে টাকা দিতেন। কিন্তু বুধবার রাতে তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না। তাই টাকা দিতে পারেননি বলরাম বাছারদের। তারপরেই তর্কাতর্কি এবং হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা দেখতে পেয়ে ছুটে যান কালু সর্দার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, কালু সরদার ও শুকদেব বাছারকে বাঁশ দিয়ে মারতে থাকেন। দুজনকেই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপর একজন রাস্তার ধারে তাঁদেরকে দেখতে পেয়ে এলাকায় খবর দেয়। এলাকার মানুষ তাঁদের দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাঁদের বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর আগে বলরাম বাছারের নাম বলতে পেরেছিলেন শুকদেব বাছার। শুক্রবার মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই বলরাম বাছারকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকার লোক ক্ষোভে ফুঁসছে। এলাকার মানুষের দাবি অভিযুক্ত বলরাম বাছারকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে এবং তাকে এলাকা ছাড়া করে দিতে হবে।