RG Kar Doctor: ‘সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, রাতে খাওয়ার পরই…’, আরজি করের ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

Doctor's Death: গত বছর আরজি করের এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয় গোটা দেশ। হাসপাতালের ভিতরেই কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ ওঠে। ফের সেই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মৃত্যু। কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

RG Kar Doctor: সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, রাতে খাওয়ার পরই..., আরজি করের ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
মৃত চিকিৎসকImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 27, 2025 | 2:53 PM

বারাসত: ফের শিরোনামে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃত চিকিৎসকের নাম সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়। রবিবার রাতে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

বসিরহাটের বড় কালিবাড়ি পাড়ায় শিশিরকুঞ্জ আবাসনের বাসিন্দা সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, হাসপাতালে কাজের প্রবল চাপ ছিল। তার ফলে দিনে দিনে মানসিক চাপ বাড়ছিল বলেও দাবি করেছেন সাগ্নিকের স্ত্রী ঐন্দ্রিলা রায়। তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে কর্মরত তিনি।

স্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়িতে সুস্থ-স্বাভাবিকই ছিলেন সাগ্নিক। রাত ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সারেন। রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন ওই চিকিৎসক। স্ত্রীকে বলেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। এরপর রাত ১২টা ৩৭ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও না এলেও প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মৃত চিকিৎসক একসঙ্গে অনেকগুলো ট্যাবলেট খেয়েছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, হার্ট রেট কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ওষুধ খেতেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওষুধের অধিক মাত্রার কারণেই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই চিকিৎসকের।

রাত ১২টা নাগাদ শেষ কথা বলেছিলেন ওই চিকিৎসক। তখনও জ্ঞান ছিল তাঁর। মানসিক চাপে চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পরিবার বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যুর কথা মানতে রাজি নয়। মৃতের আত্মীয় বলেন, “কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে আমরা এখন বুঝতে পারছি না। এরকম একটি ছেলে যে এমন কিছু করতে পারে, তা সেটা আমাদের এখনো বিশ্বাসযোগ্য নয়। আরজি করে একটু ডিউটির চাপ ছিল, সেটা কোনও ব্যাপার না।” বাবা শ্যামল কুমার আচার্য জানান, বউমা এবং ছেলে একই বাড়িতে থাকত। পারিবারিক কোনও সমস্যা ছিল না।

গত বছর আরজি করের এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয় গোটা দেশ। হাসপাতালের ভিতরেই কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষীর শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরজি করের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। হাসপাতালের মধ্যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকেও।