উত্তর ২৪ পরগনা: বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলত। তবুও সংসারটা করতে চেয়েছিলেন মেয়েটা। এরইমধ্যে সন্তানধারণও করেন। কিন্তু স্বামীর অত্যাচার বিন্দুমাত্র তাতে কমেনি। বরং বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য আরও বেশি চাপ দিতে থাকেন স্বামী-সহ পরিবারের সদস্যরা। অশান্তির মাঝেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে লাথি মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নৈহাটি মামুদপুর এলাকা। স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে শিবদাসপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি কুলিয়াগড় দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদার পেশায় রাজমিস্ত্রি। দু’বছর আগে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর বাইশের পুজা হালদারের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য পূজার ওপর চাপ দিতে শুরু করেছিলেন বিধান।
অভিযোগ, পূজাকে মাঝেমধ্যেই মারধর করা হত বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলেও এসেছিলেন পূজা। তারপর তাঁকে ফের বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি। পরিবারের আরও অভিযোগ, অন্য এক মহিলার সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিধানের। কিন্তু সেই সম্পর্ক চেপে রেখেই বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়েন পূজা। তারপরই তাঁকে একদিন বাড়িতে পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে বিধানের বিরুদ্ধে। বাড়িতেই রক্তক্ষরণ হয় পূজার। ওই অবস্থায় তিনি বাপেরবাড়ি চলে আসেন। তাঁর মা তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যান। রক্ত লাগে শরীরে। বাড়ি ফেরার পর আবারও রক্তপাত হয়। দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, অবস্থা আশঙ্কাজনক। উচ্চ রক্তচাপ ছিল পূজার। তার মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বিধানের বিরুদ্ধে শিবদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পূজার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।