Naihati TMC Worker Murder: প্রতিবাদী ছেলের ‘খুনে’ ফুঁসছে নৈহাটি, ভয় কাটিয়ে এলাকার ত্রাসের বাড়িতেই বেপরোয়া ভাঙচুর এলাকাবাসীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 30, 2022 | 11:35 AM

Naihati TMC Worker Murder: শনিবার সন্ধ্যায় জাকির হুসেন নামে ওই তৃণমূল কর্মী এলাকারই একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। অভিযোগ,বাইকে ১০-১২ জন আসে। অতর্কিতে জাকিরকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ছোড়া হয়।

Naihati TMC Worker Murder:  প্রতিবাদী ছেলের খুনে ফুঁসছে নৈহাটি, ভয় কাটিয়ে এলাকার ত্রাসের বাড়িতেই বেপরোয়া ভাঙচুর এলাকাবাসীর
অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: গুলিবিদ্ধ হয়ে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকা। মূল অভিযুক্ত আশিফুল ওরফে বাচ্চার বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতদিন এই বাচ্চা এলাকার ত্রাস ছিলেন। তাঁর নামে ভয়ে কাঁপত গোটা গ্রাম। কিন্তু এলাকার প্রতিবাদী ছেলে জাকির হুসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এবার জ্বলছে গোটা শিবদাসপুর গ্রাম। অভিযুক্তের বাড়িতে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। গ্রামের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে র‍্যাফ ও বিশাল বাহিনী। এখনও পর্যন্ত অবশ্য মূল অভিযুক্ত ও অন্যান্যদের ট্রেস করতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলাচ্ছে শিবদাসপুর থানার পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় জাকির হুসেন নামে ওই তৃণমূল কর্মী এলাকারই একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। অভিযোগ,বাইকে ১০-১২ জন আসে। অতর্কিতে জাকিরকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় পরপর তিন রাউন্ড গুলি। বুকে-পেটে-হাতে গুলি লাগে জাকিরের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বোমা ছোড়ার পরই জাকির চায়ের দোকানের সামনের রাস্তা ধরে দৌড়তে থাকেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাড়া করে তাঁকে পাশ ও পিছন থেকে গুলি করে। জাকির রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, দুষ্কৃতীরা বোমা ছু়ড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। রবিবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাকিরের।

রবিবার সকালে ওই চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে দেখা গেল, এখনও পড়ে রয়েছে বোমার সুতোলি, কিছু অত্যুৎসাহী মানুষের ভিড় রয়েছে ওই চায়ের দোকানের সামনে, তবে এলাকা থমথমে।
ওই চায়ের দোকানটি বন্ধ।

জানা যাচ্ছে, বাচ্চা নামে ওই অভিযুক্ত এলাকার ত্রাস। তিনি আসলে এলাকায় হেরোইন ও গাঁজার ব্যবসা করতেন। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাকির। জানা যাচ্ছে, জাকিরের অভিযোগের ভিত্তিতে আশিফুলকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। ১৫ দিন আগে ছাড়া পায়। এরপরই এই ঘটনা। এখনও পর্যন্ত আশিফুলকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তার আগেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে আশিফুলের বাড়িতে গিয়ে বেপরোয়া ভাঙচুর চালায়। গ্রামের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে,যে এলাকায় RAF নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ।

Next Article