North 24 Parganas Drug Smuggling: মাঝরাতে ভ্যানটা এসে দাঁড়ায় পাড়ার ‘সজ্জন’ ব্যক্তির বাড়ির সামনে, ওষুধ ব্যবসায়ীর কীর্তিতে চোখ কপালে পড়শিদের

North 24 Parganas Drug Smuggling: গত এপ্রিল মাসেই জেলা এসটিএফের অফিসারেরা সোদপুর রাজা রোড বিটি রোড থেকে ৫০০০ নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতেছিলেন।

North 24 Parganas Drug Smuggling: মাঝরাতে ভ্যানটা এসে দাঁড়ায় পাড়ার 'সজ্জন' ব্যক্তির বাড়ির সামনে, ওষুধ ব্যবসায়ীর কীর্তিতে চোখ কপালে পড়শিদের
গ্রেফতার আন্তঃরাজ্য নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 2:29 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রতিবেশীরা জানতেন ওষুধের ব্যবসা করেন। রাতে তাঁরই বাড়িতে যখন সাদা পোশাকের পুলিশ আসে, তখনও বিষয়টা বুঝতেই পারেননি প্রতিবেশীরা। পুলিশের গাড়ি দেখে সন্দেহটা হয়েছিল। বিষয়টা বুঝতেই অত্যুৎসাহী কয়েকজন আড়ি পেতেছিলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের কথা শুনেই তাঁদের চোখ কপালে। আপাত ভোলাভালা লোকটাই নাকি আন্তঃরাজ্য নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারকারী। সোদপুরের সুভাষ নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার আন্তঃরাজ্য নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারচক্রের এক চাঁই। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। ধৃতের নাম তপন সর্দার।

গত এপ্রিল মাসেই জেলা এসটিএফের অফিসারেরা সোদপুর রাজা রোড বিটি রোড থেকে ৫০০০ নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতেছিলেন। পরে একটি মিনি ট্রাক আসতেই তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় নিষিদ্ধ ওষুধ। তখন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদেরকে জেরা করেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন তপন সর্দারের নাম।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানতেন তপন ওষুধের ব্যবসা করেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন ওই ব্যক্তি। রাতে ফিরতেন। আপাত সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত এলাকায়। সমস্ত অনুষ্ঠানেই থাকতেন। কথাবার্তাও অমায়িক, তেমনটাই বলছেন প্রতিবেশীরা। তিনিই কিনা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত! বিশ্বাসই করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল, সেটা জানার পর আরও স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, তপন সর্দার একটা বড় চক্রের মাথা হিসাবেই কাজ করতেন। এই চক্রের বাকিদের নাম তাঁর কাছ থেকে জানা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাঁকে টানা জেরা করা হবে। ধৃত ব্যক্তির অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে সোজা গাড়িতে তোলে। তদন্তের স্বার্থে এখন পুলিশও কিছু বলতে চাইছে না।