উত্তর ২৪ পরগনা: রাত তখন অনেকটাই, ফাঁকা রাস্তা। স্পর্শকাতর এলাকায় রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। একসঙ্গে বেশ কয়েকজন ছিলেন। রাস্তা থেকে সন্দেহজনক কিছু একটা কুড়িয়ে দেখছিলেন একজন, অপরজন তাতে টর্চের আলো ফেলছিলেন। বাকি আশেপাশেই দাঁড়িয়ে। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা । বুধবার রাতে ফের উত্তেজনা জগদ্দলে (Jagadal)। বোমাবাজি আহত তিন পুলিশ কর্মী। গোটা ঘটনা ধরা রইল সিসি ক্যামেরায়। ঘটনায় সুশান্ত পোদ্দার, দিপু বর্মন, পীযুস কান্তি মাঝি নামে তিন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে জগদ্দলের ফুলুরি মোড়ে ফের বোমাবাজি হয়। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে জগদ্দলের ফুলুড়ি মোড়ে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। যেহেতু মাঝেমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনার ঘটনা ঘটে, বোমাবাজি হয়, সেই কারণেই এই তল্লাশি।
অভিযোগ, তল্লাশির সময়েই দূর থেকে দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমায় আহত হন তিন জন পুলিশ কর্মী। এই ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুদর্শন রজক, নিতেশ সাউ, রাজা সাউ নামে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার পর সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। বেশিরভাগ দোকানিই দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গিয়েছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা।
ঘটনায় চড়েছে রাজনীতির রং। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য নেতা উমাশঙ্কর সিং বলেন, “জগদ্দল দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত। এখানে পুলিশও নিরাপত্তা পাচ্ছে না। পুলিশও পালাচ্ছে। পুলিশকে লক্ষ্য করেই যেখানে বোমাবাজি হচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপত্তা পাবে?”
তবে তৃনমূলের ১৮ নং ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর সঞ্জয় সিংয়ের অভিযোগ, এতে কোনও দলের ব্যাপার নেই। যে দলের লোকই হোক, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক। তাঁর কথায়, “এলাকায় সিসিটিভি লাগানো, পুলিশ পিকেট বসেছে। তারপরও এই ঘটনা ঘটছে। এলাকায় লোডশেডিং ছিল। যে অভিযুক্ত, পুলিশ তাকে শাস্তি দিক। আমরাও বিরক্ত হয়ে গেছি।” আরও পড়ুন: পিএসি-কাণ্ডের জল গড়াল ভিন রাজ্যেও! ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দলনেতাদের চিঠি শুভেন্দুর