সন্দেশখালি: সন্দেশখালি থানার ওসি বদল। ওসি পদে খুইয়ে বসিরহাট থানায় বদলি বিশ্বজিৎ সাঁপুইয়ের। ইনস্পেক্টর পদে বদলি হলেন ওসি। নতুন ওসির দায়িত্বে গোপাল সরকার। বসিরহাট জেলা পুলিশের এসওজি’র এসআই থেকে সন্দেশখালির ওসি’র দায়িত্বে এলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকেই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সন্দেশখালি থানার ভূমিকা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধীরা। সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছে এলাকার মহিলাদের।
সন্দেশখালি আন্দোলন চলাকালীন সময়েও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্থানীয় থানার ভূমিকা। জোর করে জমি দখল হোক বা মহিলাদের অসম্মান। থানায় কেন অভিযোগ জানানো হয়নি? অভিযোগ, এ কথা জানতে চাইলে বারবার বিক্ষোভকারীরা একটাই কথা বলেছেন, থানায় গেলেই বলত শাহজাহানের কাছে যাও। শিবু হাজরার কাছে যাও। প্রশ্ন উঠেছিল, এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও থানা কেন কিছু টের পেল না পুলিশ! আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সন্দেশখালি থানার ভূমিকা কী ছিল? আন্দোলনের তীব্রতা খানিক কমতেই ওসির অবনমন স্থানীয় মানুষের অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫৬ দিনের খোঁজ শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। আপাতত রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। বন্দি হয়েছেন তাঁর দুই প্রধান শাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের মুখে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে শাসকের উপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েই চলেছে বিরোধীরা। যদিও এরইমধ্যে আবার নারী দিবসের প্রক্কালে কলকাতার রাজপথে সন্দেশখালির বেশ কিছু মহিলাদের নিয়ে বড় মিছিলও করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। যদিও তাঁরা আদপেও সন্দেশখালির মূল জায়গার বাসিন্দা কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একদিন আগে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল রাজবাড়ি এলাকার মহিলাদের।