Bangladesh Crisis: ‘তোর ধর্ম কী রে?’, নিজেকে ইন্ডিয়ান হিন্দু পরিচয় দিতেই…, বাংলাদেশ গিয়ে বেলঘরিয়ার সায়নের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
Bangladesh: সায়ন এও জানালেন, ওরা যখন মারছিল তখন চিৎকার করে বলছিল, 'ইন্ডিয়ান হিন্দু। মার একে মার। ওরা এই সব বলে মারছিল।' যুবকের এও অভিযোগ, সেই ঘটনার পর কেউ একবারও তাঁদের বাঁচাতে আসেনি। যে বন্ধুর বাড়ি তিনি গিয়েছেন তিনিই শুধু তাঁর পাশে ছিলেন। এমনকী এখন নাকি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকেও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বেলঘরিয়া: ‘মার ওকে, মার-মার! ও ইন্ডিয়ান হিন্দু…।’ যেমন বলা তেমনই কাজ। অভিযোগ, বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সায়ন ঘোষকে বাংলাদেশে গিয়ে চরম নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে একদল দুষ্কৃতীর হাতে। পাথর দিয়ে মেরে মাথা ফাটানো হয়েছে সায়নের। কোনও মতে প্রাণটুকু নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। টিভি ৯ বাংলা রবিবার যোগাযোগ করেছিল সায়নের সঙ্গে। সেখানেই তিনি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
সায়ন বলেছেন তিনি বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ঢাকায়। যেদিন ফেরার কথা ছিল সেদিনই বিপদ। তিনি বলেন, “আমি নভেম্বরের ২৩ তারিখ গিয়েছিলাম বাংলাদেশের ঢাকায়। সেখানে আমার এক বন্ধুর বাড়ি। আমার কাছে পাসপোর্ট ছিল। সম্পূর্ণ বৈধভাবে গিয়েছিলাম সেখানে। ২৬ তারিখ বাড়ি ফেরার কথা। রাতের ট্রেন ছিল। সেই কারণে বন্ধু বলল চল সকালবেলা ঘুরে আসি। সাড়ে আটটার দিকে বের হই আমরা।”
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে প্রায় কেঁদেই ফেললেন। বললেন, “সেই সময় বাংলাদেশি মুসলিম যুবক মিলে আমায় ঘেরাও করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমায় বলছে তোকে তো কখনও দেখিনি। তোর ধর্ম কী? আমি বললাম আমি ইন্ডিয়ান। হিন্দু। তারপর কোনায় নিয়ে গিয়ে পকেট থেকে টাকা পয়সা ফোন ছিনতাই করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমার মাথা পাথর মেরে ফাটিয়ে দেয়। চোখে ছুরি চালায়। গভীরভাবে আহত হই।”
সায়ন এও জানালেন, ওরা যখন মারছিল তখন চিৎকার করে বলছিল, ‘ইন্ডিয়ান হিন্দু। মার একে মার। ওরা এই সব বলে মারছিল।’ যুবকের এও অভিযোগ, সেই ঘটনার পর কেউ একবারও তাঁদের বাঁচাতে আসেনি। যে বন্ধুর বাড়ি তিনি গিয়েছেন তিনিই শুধু তাঁর পাশে ছিলেন। এমনকী এখন নাকি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকেও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সায়ন বলছেন, “এর আগেও তিন চারবার বাংলাদেশ গিয়েছি। হাসিনার সরকারের সময় অতিথি আপ্যায়ন করতেন সেখানকার লোকজন। কিন্তু এখন…।” সায়ন এও বলেছেন, যেহেতু আমি ভারতীয়-হিন্দু, কেন আমার বন্ধুর পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে আমায় সেই কারণে ওদের এত ভয়।”