নারায়ণপুর: গত শনিবার নারায়ণপুরে স্বামী স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল দম্পতির মেয়েও। সেই ঘটনায় কার্যত শিউরে উঠেছিলেন পাড়া প্রতিবেশীরা। তদন্তে নেমেছিল নারায়ণপুর থানার পুলিশও। সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার একজন। অভিযুক্তের নাম অমিত শিকদার।
প্রসঙ্গত, ওষুধ ব্যবসায়ী সাগর মুখোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। অভিজাত আবাসনের ঘরে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় সাগরের স্ত্রী ও মেয়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট হাতে পায়। জানতে পারে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপরই বেছে নেন চরম পথ। প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের গলায় কোপ দেন। তারপর নিজে ঝুলে পড়েন সিলিং ফ্যানে। তবে ঘটনাচক্রে বেঁচে যায় সাগরবাবুর নাবালিকা মেয়ে। একটি বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি
সুইসাইড নোট সঙ্গে মেয়ের বয়ান অনুযায়ী নারায়ণপুর থানার পুলিশ জানতে পারে এই ওষুধ ব্যবসায়ী অমিত শিকদারের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, অমিত দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছিল। সাগর টাকা পরিশোধের জন্য অমিতকে একটি পোস্ট ডেটের চেক ধরান। সেটি দেখে আরও তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অমিত শিকদার। অভিযোগ, লাগাতার সাগরবাবুকে হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ চেকটি নিয়ে গিয়ে ব্যাঙ্কে বাউন্স করিয়ে আইনি জটিলতায় ফাঁসাবেন। এরপরই গতকাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।
আজ তাকে তোলা হবে ব্যারাকপুর আদালতে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০২ খুন, ৩০৬ আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া, ৫০৬ অপরাধমূলক ভয় ভীতি প্রদর্শন সহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে।