বসিরাহাট: একের পর এক বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে শব্দবাজি। পুলিশি অভিযানে দোকান থেকে প্রায় এক কুইন্টাল নিশিদ্ধ শব্দবাজি সহ গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
কালী পুজোর আগে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধারে তৎপর পুলিশ। তারই ছবি ধরা পড়ল সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরে। বসিরহাটে স্বরূপনগর থানার স্বরূপনগর-বসিরহাট রোডের হরিশপুর মোড়ে প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করছিলেন উত্তম অধিকারী নামক এক বিক্রেতা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্বরূপনগর থানার ওসি প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে প্রায় ৮০ কিলো নিষিদ্ধ শব্দবাজি সহ ওই বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেন। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় কুইন্টাল খানেক নিষিদ্ধ শব্দবাজি। যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদলতে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে দুইজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত বহু। অনেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। থমথমে ঘটনাস্থল। এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় চলছে বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে পুলিশি হানা। এখনও পর্যন্ত জেলাজুড়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ৬ জন। তা আরও বাড়তে পারে। যদিও দুর্ঘটনার পরে পুলিশি তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় বাজির বাজার মহিষাদলের চিঙ্গুরমারিতে। অনেকেরই দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এখানে বেআইনিভাবে বাজি বিক্রি হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় লক্ষ লক্ষ টাকার এই বেআইনি ব্যবসা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু পাঁশকুড়ায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় চাপে জেলা প্রশাসন। জেলা জুড়ে তাই শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান এবং ধরপাকড়। বহু জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে বাজিও। পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বেআইনি বাজি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারদের তালিকায় অন্যতম নাম দোলন ঘোড়াই। তার স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের সামনে কার্যকর স্বীকার করে নিয়েছেন দেদার বেআইনি বাজি বিক্রির অভিযোগ।