‘দিনের পর দিন আমার সঙ্গে…’, কথা দিয়েও কথা রাখেননি প্রেমিক, থানায় গেলেন যুবতী!

Crime News: নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, এলাকারই বাসিন্দা সামুদ আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস আগে তাঁর আলাপ হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

'দিনের পর দিন আমার সঙ্গে...', কথা দিয়েও কথা রাখেননি প্রেমিক, থানায় গেলেন যুবতী!
অভিযুক্ত সামুদ আলি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 3:56 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বিয়ের প্রতিশ্রুতি  দিয়ে একাধিকবার সহবাস (Live in) করার পরেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অশোকনগরের গুমা কালিনগর এলাকার ঘটনা।

নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, এলাকারই বাসিন্দা সামুদ আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস আগে তাঁর আলাপ হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন বলে অভিযোগ। যুবকের কথায় বিশ্বাস করে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্কেও জড়ান তিনি। কিন্তু, তারপরেই ধীরে ধীরে ওই যুবক ঘনিষ্ঠতা কমাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, প্রায় যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। তখন, নির্যাতিতা নানাভাবে ওই যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযুক্ত যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।  বাধ্য় হয়েই অশোকনগর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নির্যাতিতার কথায়, “আমায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সামুদ বলেছিল বিয়ে করবে। সেইজন্যই আমি রাজি হই সম্পর্ক রাখতে। কিন্তু দিনের পর দিন আমার বারণ সত্ত্বেও ও আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত। পরে যখন আমি বিয়ের জন্য চাপ দিই তখন ধীরে ধীরে সরে আসে। এমনকী যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। আমি ফোন করলেও আর ফোন ধরেনি। বাধ্য হয়েই থানায় গিয়ে অভিযোগ করি।” অশোকনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে বারাসাত আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা বলছে, ভুল বুঝিয়ে সহবাস করা ধর্ষণেরই সামিল, তাই ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩৭৬ ধারাতেই সাজা হবে এমনটাই নির্দেশিত ছিল। তবে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আইনটিকে ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এ ধরনের মামলায় প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে ধরে নেওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে কোনও কারণে কোনও ব্যক্তি বিয়ে করতে অস্বীকার করতেই পারেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি ভবিষ্যতে প্রতারণার পরিকল্পনা নিয়েই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের সম্মতি আদায় করেন, তবেই সেটা অপরাধ। কিন্তু বিয়ের পরিকল্পনা নিয়েও পরে কোনও কারণে সেই প্রতিশ্রুতিতে না পূরণ করতে পারলে সেটি অপরাধ নয়। এ প্রসঙ্গে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারার ব্য়াখ্যা করে বলা হয়, কোন পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। যিনি অভিযোগ করছেন তিনিই বা কেন সম্মতি দিয়েছেন তা প্রমাণ-সহ আদালতের কাছে দুই পক্ষকে পেশ করতে হবে এমনটাই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আরও পড়ুন: ‘আমার চুলের মুঠি ধরে…’, ‘ভুল’ চিকিত্‍সা, আহত নার্স-চিকিত্‍সক!