Child Marriage: পাড়ার কাকিমার উদ্যোগে আয়োজন হয়েছিল নাবালিকার বিয়ের, মেয়ের বাবা জানতেই যা হাল করলেন…
Basirhat: বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার দক্ষিণ শিমুলিয়া কালিবাড়ি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের রাকেশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পনেরোর ওই নাবালিকার।
বসিরহাট: পাশের বাড়ির কাকীমা ও মা মিলে অস্বীকার চুপি-চুপি বিয়ের আয়োজন করেছিল নাবালিকার। সেই মতো চলছিল প্রস্তুতিও। শুধু বিষয়টি জানতেন না নাবালিকা পাত্রী বাবা। তাকে না জানিয়েই বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে গোটা ঘটনার বিষয় জানতে পেরে এলাকায় পুলিশ নিয়ে পৌঁছায় ওই নাবালিকার বাবা। গোপন ডেরায় বাল্যবিবাহ দেওয়ার কারণে আটক করা হয় পাত্রের বাবা ও নাবালিকার ওই কাকিমাকে।
সূত্রের খবর, বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার দক্ষিণ শিমুলিয়া কালিবাড়ি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের রাকেশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পনেরোর ওই নাবালিকার। মেয়েটি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এই বিয়ের সম্বন্ধ করেছিল পাত্রীর প্রতিবেশী কাকিমা মামনি দাস। তবে মেয়ের যে বিয়ে হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নাবালিকার বাবা। তবে বিষয়টি জানতেন মেয়েটির মা। তাই কাকিমা ওই পাত্রীকে বাড়ি থেকে এনে দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায় এক গোপন ডেরায় বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল।
অভিযোগ, তবে বিয়ের সম্পুর্ণ তদারকি ও আয়োজন করেছিল স্বয়ং পাত্রের বাবা রঘুনাথ মণ্ডল। কিন্তু বিয়ের আয়োজন যখন শেষ তখনই গোটা বিষয়ে জানতে পারেন পাত্রীর বাবা নির্মল মণ্ডল। হাসনাবাদ থানায় পাত্র, পাত্রের বাবা ও পাত্রীর কাকিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাসনাবাদ থানার পুলিশ শুক্রবার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রাম থেকে পাত্রের বাবা রঘুনাথ মণ্ডল ও পাত্রীর কাকিমা মামনি দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরায় ধৃতরা এই অভিযোগ স্বীকার করে নেয়।
নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পাত্রের বাবা ও পাত্রীর কাকিমাকে এদিন বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনার পর থেকে পাত্র রাকেশ মণ্ডল পলাতক। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা ছাত্রী শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিও দেবে। একবিংশ শতাব্দীতে এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনায় সব মহল থেকে ধিক্কার উঠেছে।
আরও পড়ুন: Coal Block Case: কোল ব্লক বণ্টনে দুর্নীতি! ১৩৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
আরও পড়ুন: Contai Municipal Election 2022: আর মেজাজ হারালেন না, জোড়হাতে বিক্ষোভকারীদের প্রণাম! আজও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মুখে শুভেন্দু