Onion Price: বিপদের মুখে বাংলাদেশ, কোটি কোটি টাকার পেঁয়াজ পচছে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতেই
Onion Price: বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হওয়া মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ এবার দিতে রাজি নয় ভারত সরকার। স্বভাবতই বিপাকে বাংলাদেশ সরকার। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে আজও পর্যন্ত আটকে রয়েছে ট্রাকগুলি। ফলে পেঁয়াজ পচে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন দু'দেশের প্রচুর ব্যবসায়ী
বসিরহাট: সীমান্তে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে লরির পর লরি। আর তাতে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ। কয়েকশো কোটি টাকার পেঁয়াজ পচছে গাড়িতেই। কেন্দ্রের নির্দেশে আপাতত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ। আর তাতেই কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙ্গায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে আটকে রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই পণ্যবাহী ট্রাক। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৩০টি লরিতে ৪৫০টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। আর বাজারমূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। দেশ জুড়ে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য। বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে পেঁয়াজের যোগান কমেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হওয়া মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ এবার দিতে রাজি নয় ভারত সরকার। স্বভাবতই বিপাকে বাংলাদেশ সরকার। গত কয়েক মাসে পেঁয়াজের দাম কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করার একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে আজও পর্যন্ত আটকে রয়েছে ট্রাকগুলি। ফলে পেঁয়াজ পচে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন দু’দেশের প্রচুর ব্যবসায়ী। ভারতের ব্যবসায়ীরা কিছু পেঁয়াজ ট্রাক থেকে নামিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। কারণ যত সময় যাবে পচন ততই বাড়বে। এই পেঁয়াজ তাঁরা বাংলাদেশে না পাঠাতে পারলে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে ঘোজাডাঙা আমদানি রফতানি সংস্থার আধিকারিকরা কোনও কিছু জানাতে চাননি। তারা ক্যামেরা পিছনে বলেছেন, কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করা হচ্ছে না।
এক লরির চালক অতনু ঘোড়াই বলেন, “বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হচ্ছে না। আজ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনও কোনও গাড়ি ১০ দিন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্কিং চার্জও লাগছে। গাড়ি এখন গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ”
অন্যদিকে নাসিকের এক লরি চালক সুখদেব সিং বলেন, “৭ তারিখ থেকে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এক লক্ষ টাকার ক্ষতি তো এখানেই হয়েছে। বলছে সীমান্ত বন্ধ। আমরা পুরো ফেঁসে গিয়েছে। পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। লোডিং-আনলোডিং এত করলে কী আর পেঁয়াজ ভালো থাকে।” পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। সেক্ষেত্রে ওই পেঁয়াজ যদি দ্রুতই বাজারে আনা যেত, তাহলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হত।