Child Marriage: বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশ, মুচলেকা দিতে হল পাত্রীর পরিবারকে
Child Marriage: কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে কর্মরত কর্মীরা ও প্রশাসনিক কর্তারা পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বলেন ১৮ বছরের নীচের কন্যাকে বিয়ে দেওয়া অপরাধ।
কলকাতা: বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন, বিয়ের জন্য বাড়িতেই করা হয়েছিল প্যান্ডেলও। সকাল থেকে চলছিল গায়ে হলুদের আয়োজন। তারই মধ্যে কয়েকজনকে ঢুকতে দেখে চমকে যান অতিথিরা। প্যান্ডেল পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেই তাঁরা প্রশ্ন করেন, পাত্রীর বয়স কত? পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, বয়স ১৮ পেরোয়নি। সঙ্গে সঙ্গে আটকে দেওয়া হয় বিয়ে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ঘটনা। সঠিক বয়স হলে অর্থাৎ সাবালিকা হলে তবেই যাতে বিয়ে দেওয়া যায়। এই মর্মে মুচলেকা দিতে হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে।
পাত্রীর বাড়ি বাগদার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও পাত্রের বাড়ি বনগাঁয়। বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টাই বাকি ছিল। তার আগে শুক্রবার দুপুরেই সেখানে পৌঁছে যান পুলিশকর্মী ও প্রশাসনিক কর্তারা। পাত্রীর বয়স কত হয়েছে, তা জানতে চাইলে পাত্রীর বাড়ির সদস্যরাই জানান বয়স এখনও ১৮ হয়নি। তাহলে কেন বিবাহের আয়োজন? পরিবারের সদস্যরা জানান, না বুঝেই তাঁরা নাকি মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে কর্মরত কর্মীরা ও প্রশাসনিক কর্তারা পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বলেন ১৮ বছরের নীচের কন্যাকে বিয়ে দেওয়া অপরাধ। পরবর্তীতে নাবালিকার বাবা এবং মা মুচলেকা দিয়ে জানান, ১৮ বছর না পূর্ণ হলে বিয়ে দেওয়া যাবে না। এরপর বন্ধ হয়ে যায় নাবালিকার বিয়ে। নাবালিকার বাবা জানান, তিনি আইনের ব্যাপারে কিছু জানতেন না। তিনি জানতেন ১৫ বছর বয়স হলেই বিয়ে দেওয়া যায়।
এই বিষয়ে বাগদা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক তাপস বিশ্বাস জানান তাঁদের কাছে খবর ছিল নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই মতো পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ হালদার জানান, গ্রামের মানুষ না বুঝতে পেরে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল। পরবর্তীতে ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করেছে।