Mobile Smuggling: মোবাইল পাচারচক্র ফাঁস করল পুলিশ, উদ্ধার ৩০ মোবাইল, গ্রেফতার এক বাংলাদেশি-সহ ৩
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করা হবে। সেই মতো তদন্তে নেমে ৩০টি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। ধৃত তিন জনের মধ্যে এক জন বাংলাদেশি নাগরিক।
বনগাঁ: গরু, সোনা, মাদকের মতো সীমান্ত ব্যবহার করে চোরাই মোবাইলও পাচার করা হয় বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে। এই সব পাচার রুখতে সজাগ রয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারি বার বার ব্যর্থ করে পাচারকারীদের পাচারের ছক। বুধবারও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচারের ছক ব্যর্থ হল। পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মোবাইল পাচার রোখা সম্ভব হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করা হবে। সেই মতো তদন্তে নেমে ৩০টি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। ধৃত তিন জনের মধ্যে এক জন বাংলাদেশি নাগরিক।
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা পুলিশ মহম্মদ শেহবাজ আহমেদ নামে বাগুইহাটির এক বাসিন্দাকে বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল। গত ২৬ মে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ৩টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশি নাগরিক শাহিন আলির খোঁজ পায় পুলিশ। শাহিনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃত দুই জনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুভদীপ সাহা নামে বনগাঁর এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুভদীপের বাড়ি ও শেহবাজের বাড়িতে তল্লাশি করে আরও ২৭টি মোবাইল উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গোপালনগর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে এর আগে ৫ বার বাংলাদেশে মোবাইল পাচার করেছে শেহবাজ। বাংলাদেশের বাসিন্দা শাহিন আলী বনগাঁর শুভজিৎ সাহার বাড়িতে এসে থাকতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বাগদার এসডিপিও বলেছেন, “এই তিন পাচারকারী বিভিন্ন এলাকার চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করার কাজে যুক্ত। এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।”