হেলেঞ্চা: আবাস যোজনায় দুর্নীতির (Corruption in Pradhan Mantri Awas Yojana) অভিযোগে ইতিমধ্যেই সংসদে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসাদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। এরইমধ্যে আবাস যোজনার ঘরের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে চক্ষু-চড়ক গাছ হয়ে যায় বাগদা থানার ওসির। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক নির্দেশ দিয়েছে তালিকা খতিয়ে দেখতে। সেই কাজই চলছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। সূত্রের খবর, হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শনের নির্দেশ এসেছিল বাগদা থানার ওসির কাছে। এরপরই তিনি সেখানে যান।
এলাকার বেশিরভাগই হত-দরিদ্র পরিবার। পাকা বাড়ি বেশিরভাগই মানুষেরই নেই। তাঁদের অনেকেরই নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের নামে বরাদ্দ হচ্ছে টাকা। এদিন হেলেঞ্চা গ্রামে গিয়ে আবাস যোজনায় নাম থাকা একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তা। তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা, রোজগারের দিকগুলিও খতিয়ে দেখেন। এদিকে এই হেলেঞ্চা গ্রামেরই বাসিন্দা বুলু কীর্তনিয়া। সূত্রের খবর, তাঁর নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। তাঁর বাড়ি দেখতে গিয়ে চমকে যান ওসি উৎপল সাহা। দেখা যায় দোতলা বাড়িতে ফ্রিজ, মোটরবাইক ও তিন চাকা গাড়ি সবই রয়েছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও বেশ স্বচ্ছল। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম রয়েছে তাঁর। তা দেখেই অবাক হয়ে যান ওসি।
প্রসঙ্গত, এই সরকারি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে মূলত দেশের গরিব মানুষের কথা ভেবে। যে সমস্ত দুস্থ পরিবারে রয়েছে ঘরের সঙ্কট তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই চালু করা হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু, বারবারই অভিযোগ উঠছে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল একাধিক পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে সরকারের খাতায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই এ জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। পুলিশ যে তাঁর বাড়িতে এসেছিল তা নিশ্চিত করেছেন বাড়ির মালিক বুলু কীর্তনিয়া। তবে আবাস যোজনায় কী করে তাঁর নাম এল তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।