মিনাখাঁ: কেরল সফর থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবারই যে রাজ্যপাল সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয়। সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে। সকাল ১১ টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল লোক। মূলত ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মিনাখাঁর ওপর দিয়ে বামনগাছির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কনভয়। প্রথমে বামনপুকুর এলাকায় আটকানো হয় গাড়ি। দেখা যায়, বিক্ষোভকারীগদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে জানানো হয়েছে বকেয়া টাকার দাবি। সেখান থেকে পুলিশ কোনও ক্রমে জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার পর কয়েকশ মিটার দূরে কালীতলা ফের দেখা যায় একই ছবি। আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যপালেক কনভয়।
রাজ্যপাল যখন পূর্ব পরিকল্পনা মতো সন্দেশখালির দিকে যাচ্ছেন, তখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন আগে থেকে রাস্তা পরিষ্কার করে রাখা হল না? পুলিশ কেন সরাল না জমায়েত?
এদিন বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যপাল বলেন, “কেরল সফরে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ জানতে পারি সন্দেশখালির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা। তাই সফর কাটছাঁট করেই চলে এসেছি। নিজে চোখে দেখতে চাই কী হচ্ছে সন্দেশখালিতে।” এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির জেরে সোমবারই এলাকায় বনধ ডেকেছে বামেরা।