Sandip Ghosh: ‘বাচ্চা হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন সন্দীপ, সেলাই ফেটে যায়’
Sandip Ghosh: একসময় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিক বাগানে থাকতেন তিনি। সেখানে নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। চেম্বারও করতেন। কাজেই পাড়ায় পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সদ্য মা হওয়া এক মহিলার পেটে লাথি মেরেছিলেন তিনি
বারাসত: আরজি কর-কাণ্ডে ইস্তফা দিয়েছেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে ঝড় বইছে বিতর্কের। খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ভর্ৎসনা করেন সন্দীপকে। আর তাঁরই বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
একসময় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিক বাগানে থাকতেন তিনি। সেখানে নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। চেম্বারও করতেন। কাজেই পাড়ায় পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সদ্য মা হওয়া স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন সন্দীপ। সেই সময় সদ্যোজাতর বয়স ছিল চোদ্দ দিন। শুধু সন্দীপ নয়, তাঁর মায়ের ব্যবহার নিয়েও উঠেছিল বিস্তর অভিযোগ।
মল্লিকবাগানের বাসিন্দা বলেন, “তখন সন্দীপ ঘোষ নয়, নাম ছিল ডক্টর এস ঘোষ। অর্থপেডিক সার্জেন্ট। তাঁকে দেখাতে অনেকেই এই বাড়িতে আসতেন। ওঁর বাড়িতে একবার গন্ডগোল হয়। আমরা গিয়েছিলাম। উনি ওঁর স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন। মাত্র চোদ্দ দিন ছিল বাচ্চা হয়েছে। শুনেছি সেই সময় যিনি স্ত্রী ছিলেন উনি নীলরতনের চিকিৎসক।” আরও এক বাসিন্দা বললেন, “মানসিকতা ভাল ছিল না। ব্যবহার খারাপ। ওঁর মায়ের ব্যবহারও আরও খারাপ ছিল। যেদিন ওঁর স্ত্রীকে লাথি মেরেছিল সেদিন ওঁর স্ত্রীর সেলাই ফেটে গিয়েছিল। সেই অবস্থায় ওই ভদ্রমহিলাকে আমরা বের করছি হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে, তখন আমরা বাচ্চাটার জন্য জামা নিতে গিয়েছি, দেয়নি।” আরও একজন বললেন, “ব্যবহার খারাপ। ডাবল-ডাবল ফিস নিতেন। ভাল লোক ছিলেন না।” পরে এই বাড়ি বেচে অন্যত্র চলে যান। তবে তাঁর এই ঘটনার কথা আজও ভোলেনি মল্লিকবাগান।