School: বাংলার স্কুল না যমের বাড়ি! মাথায় চাঙড় ভাঙার ভয়ে ছাতা মাথায় বাচ্চারা

School New: জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ একটু বৃষ্টি হতেই জল যেমন চুঁইয়ে পড়ছে, তেমনই চাঙড় খসে পড়ছে দেওয়াল থেকে। সেই কারণে পড়ুয়ারা বাধ্য হয়ে ছাতা খুলে বসে আছে।

School: বাংলার স্কুল না যমের বাড়ি! মাথায় চাঙড় ভাঙার ভয়ে ছাতা মাথায় বাচ্চারা
স্কুলের অবস্থা দেখুন...Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 20, 2024 | 4:11 PM

হিঙ্গলগঞ্জ: স্কুলে বসে রয়েছে খুদেরা। সামনে খোলা বই। আর অন্য হাতে খুলে রেখেছে ছাতা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। এই বুঝি চাঙর খসে পড়ে মাথায়। বিপদজ্জনকভাবে স্কুল ঘরের ভিতরে এইভাবেই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। ঘটনাটি হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুড়িয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলের।

জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ একটু বৃষ্টি হতেই জল যেমন চুঁইয়ে পড়ছে, তেমনই চাঙড় খসে পড়ছে দেওয়াল থেকে। সেই কারণে পড়ুয়ারা বাধ্য হয়ে ছাতা খুলে বসে আছে।

এক খুদে জানাল, “চাঙ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তাই আমরা ছাতা মাথায় পড়াশোনা করছি। ছাদ ঠিক না হলে আমরা আর আসব না।” এক অভিভাবক বলেন,”এই স্কুল ছাড়া আর গতি নেই। বাড়ির কাছে আর স্কুল নেই। অনেক দূরে যেতে হয়। সেই কারণে বাধ্য হয়ে এইখানেই পাঠাই।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “একবার নয়। একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়েছি। আমাদের তো বছরে ডাইস পূরণ করতে হয়। সেই ফর্মেও আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা হয়নি।” শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, “এই লজ্জা শিক্ষা দফতরের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছক আমরা চাই। এরা শিক্ষা থেকে টাকা রোজগারের বিভিন্ন পন্থা বের করেছেন। কিন্তু শিক্ষাকে যত্ন করার, প্রসারের কোনও চেষ্টা করেননি। অনেক স্কুল উঠে গেছে। শিক্ষক নেই অনেক জায়গায়। এটা লজ্জার ছবি।”