
বসিরহাট: ছোট থেকেই ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন জয়ন্ত পাল। তবে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জয়ন্ত যে এভাবে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে, তা বাবা-মায়ের আশার অতীত ছিল। আজ বাদুড়িয়া তথা গোটা বাংলার গর্ব জয়ন্ত। চন্দ্রযানের পর ইসরোর সৌর অভিযানেও অন্যতম কারিগর তিনি। তাই আজ, শনিবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই ইসরো-র আদিত্য এল ওয়ান (Aditya L-1 ) মিশনের সাফল্য কামনা করেন এদিন। সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন জয়ন্তর বাবা অর্ধেন্দু পাল ও মা আলপনা পাল। আলপনা দেবী বলেন, ‘আমি মা হিসেবে চাই জয়ন্তর নাম একদিন গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব যেন জানতে পারে।’ সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে ‘আদিত্য’ (Aditya L-1) -র উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইসরো।
জয়ন্ত পাল
বাদুড়িয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে জয়ন্ত পাল। ২০১৮ সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এ অন্যত কারিগর ছিলেন। সেই অভিযান পুরোপুরি সফল না হলেও, সাফল্য এসেছে ২০২৩-এ। চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর সেই অভিযানের টিমেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার জয়ন্ত পাল। আর এবার সূর্যযান।
জয়ন্ত পালের বাবা অর্ধেন্দু পাল পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক আনুকুল্য তেমন ছিল না কোনও দিনই। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর মা আলপনা পাল ছেলেকে শিক্ষার পথ থেকে সরে যেতে দেননি কখনও। আজ একের পর এক অভিযানে জয়ন্তর নাম জুড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই গর্বিত পাল পরিবার।
এদিন জন প্রতিনিধি থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী, ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পাল বাড়িতে ভিড় জমান অনেকেই। তাঁর বাবা-মা জানান, আদিত্য এল ওয়ান (Aditya L-1 ) মিশনের জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন ছেলে। আপাতত অপেক্ষা দূর্গা পুজোর। ওই সময়েই বাড়ি ফেরার কথা জয়ন্ত পালের।