
বাদুড়িয়া: সাতসকালে গ্রামে বেশ কয়েকজন অপরিচিত পুরুষ-মহিলা। সঙ্গে কয়েকজন নাবালক-নাবালিকাও। গ্রামে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ত্রিপল পেতে বসে রয়েছে। কারা তারা? খোঁজ করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছল। জানা গেল, গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ওই নারী, পুরুষরা রোহিঙ্গা। অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল। আবার অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য সীমান্তবর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগর ১ পঞ্চায়েতের লবঙ্গ গ্রামের।
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম লবঙ্গ। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারা। শিশু-সহ মোট ২২ জন ছিল। তার মধ্যে দু’জন গর্ভবতী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে ১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কবে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল তারা? ধৃত মহম্মদ আলম নামে একজন বলে, “আমরা মায়ানমারের বাসিন্দা। হায়দরাবাদ থেকে এখানে এসেছি। এখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে যেতাম। সেই শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার জন্য এখানেই এসেছিলাম। ফাঁকা বাড়ি দেখে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।” কতদিন আগে তারা ভারতে এসেছে? প্রশ্ন শুনে চমকে দেওয়ার মতো উত্তর দিল সে। বলে, “১০ বছর আগে ভারতে এসেছি। হায়দরাবাদে কাজ করতাম। কাগজ ও প্লাস্টিক ভাঙা কুড়োতাম।”
শায়েস্তানগর ১ পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি হাকিম শেখ বলেন, “সকালে ওরা ঘোরাঘুরি করছিল। নির্মীয়মাণ ঘর দেখে সেখানে আশ্রয় নেয়। তা দেখেই প্রশাসনকে জানানো হয়।”