Shantanu Thakur: ৫০ লক্ষকে আটকাতে যদি ১ লক্ষ মতুয়া ভোট না দিতে পারে, মেনে নিতে হবে: শান্তনু

Shantanu Thakur: মতুয়াদের চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, "সিএএ-তে আবেদন করা মানেই শান্তনু ঠাকুর আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সেই কারণেই আবেদন করতে বলছেন।"

Shantanu Thakur: ৫০ লক্ষকে আটকাতে যদি ১ লক্ষ মতুয়া ভোট না দিতে পারে, মেনে নিতে হবে: শান্তনু
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 22, 2025 | 8:22 PM

বনগাঁ: এসআইআর নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মতুয়ারা। সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাবেন কি না, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর মিলছে না। নাগরিকত্বের আশ্বাস মিললেও এসআইআর শেষ হওয়ার আগে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে কি না, তা বুঝতে পারছেন না মতুয়ারা। সেই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বললেন, এক লক্ষ মতুয়া ভোট দিতে না পারলেও সেটা মেনে নিতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে এইটুকু সহ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর গাড়াপোতাতে একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রতিবাদ মিছিলের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে সিএএ-তে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করে শান্তনু বলেন, “দয়া করে যত শীঘ্র সম্ভব আপনারা সিএএ-তে আবেদন করুন। রোহিঙ্গাদের খুঁজে বের করতে সুবিধা হবে। এসআইআর-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই।”

কিন্তু নাগরিকত্ব পাওয়ার আগে যদি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ চলে যায়, তাহলে কী হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে শান্তনু বলেন, “এসআইআর-এ আমাদের কোনও সমস্যা নয়। ভারতবর্ষের সরকারকে সহযোগিতা করবার জন্য এসআইআর যদি মানতে হয়, তাহলে মানব না কেন!৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলমান, পাকিস্তানি মুসলমানকে বাদ দিতে গিয়ে যদি আমার সম্প্রদায়ের এক লক্ষ মানুষকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হয় তাতে কী আসে যায়।”

তবে মতুয়াদের চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, “সিএএ-তে আবেদন করা মানেই শান্তনু ঠাকুর আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সেই কারণেই আবেদন করতে বলছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাগলের প্রলাপ বকছেন শান্তনু ঠাকুর। কোনও রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গে নেই।”