বনগাঁ: কিছুতেই ‘শান্তি’ ফিরছে না বাংলাদেশে। হাত পড়েছে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেও। যদিও তুমুল বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের দাবি, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতে বসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করছেন তা আসলে উস্কানিমূলক। তা থেকেই জনতার মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে এ কথা বলছে সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নতুন করে আগুন জ্বলতেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। এদিকে চিকিৎসা-সহ নানা প্রয়োজনে হাজার হাজার বাংলাদেশি প্রতি মাসেই এপার বাংলায় আসে। চিন্তা বেড়েছে তাঁদের মধ্যেও। প্রয়োজনে এপারে আসা বাংলাদেশিরা দ্রুত পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাক। চাইছেন অনেকেই। সকলের একটাই কথা শান্তি চাই।
তবে অনেকে প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খুললেও, অনেকেই আবার একটু বিব্রত বোধ করলেন। যোশর থেকে বারাসতে মেয়ের বাড়ি এসেছিলেন বাংলাদেশি বৃদ্ধ। তাঁর কথায়, “আমরা রাজনীতি বুঝি না। তবে শান্তি চাই।”
হাসিনার কথা উঠতেই অনেকেই আবার মুখে কার্যত কুলুপ আঁটলেন। ওপার থেকে আসা এক বাংলাদেশি নাগরিক যেমন বললেন, “হাসিনার বাড়ি তো আমাদের বাড়ির কাছে নয়। তাই অতো জানি না। আমরা তো ঘটনার কথা ভারতে এসে জানলাম।” তবে বাংলাদেশ যে ভাল নেই তা মানছেন তিনি। খানিক উদ্বেগের সঙ্গেই বললেন, “সবাই শান্তি চায়। দেশ তো ভাল নেই। এবার শান্তি ফিরুক। এটাই চাই।” আর এক বাংলাদেশিরও একই কথা। তিনি আসছেন ফরিদপুর থেকে। ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি আবার বলছেন, “ফরিদপুর ভালই আছে। হাসিনার বাড়ি ভাঙচুরের খবরটা এখানে আসার পথে দেখেছি। ফেসবুকে লাইভ দেখলাম।”