কলকাতা: শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। তারপর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান। ওই ঘটনার পর থেকে রেশন দুর্নীতি মামলায় একাধিকবার তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু কোথায় ‘সন্দেশখালির বাঘ’? পুলিশের কাছেও উত্তর নেই। সোমবার আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের আগাম জামিন মামলা। তাঁর মক্কেলকে যেন আর নোটিস না পাঠায় ইডি, সেই আবেদনই এদিন জানিয়েছেন শাহজাহানের আইনজীবী। সোমবারও তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে, আগের মতোই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
শাহজাহানের আইনজীবী এদিন সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, আমার মক্কেলকে বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে, যাতে এটা বোঝানো যায় যে আমরা সহযোগিতা করছি না। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থার সন্দেহ বিদেশে টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে, ইডি কী বলতে চাইছে সেটাও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, ইডি-র আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, শাহজাহান প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাঁর হাতে রেশন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে বলেছে, তিনি মন্ত্রী তথা প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠ। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে ইডি। শাহজাহানের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে তারা।
এরপরই পরোক্ষে রক্ষাকবচের অনুরোধ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, আমার একটাই অনুরোধ। আদালতে আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত শাহজাহানকে আর কোনও নোটিস যেন না পাঠায় ইডি। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মক্কেল কেন হাজিরা দিচ্ছেন না?’ উত্তরে শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, ‘যেহেতু আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে তাই…।’ তিনি আরও বলেন, হয় আমাকে সমন ইস্যু না করা হোক, নাহলে বলুন এই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে না।
ইডি-র আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, নোটিসের বিষয়ে আমি কোনও দায়িত্ব নেব না। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল ইডি অফিসারদের। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।