
জগদ্দল: মাঝে ব্যবধান কয়েক মাসের। ফেব্রুয়ারির পর সোজা সেপ্টেম্বরের ‘শেষ বেলা’। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে ফের গুলি, বোমাবাজির ঘটনা। ভাঙচুর চলল নেতার ভাইপোর গাড়িতেও। মধ্য়রাতে তপ্ত জগদ্দল। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র্যাফও। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই গুলি ও বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। পরপর বোমাবাজির জেরে ধোঁয়ায় সাদা হয়ে যায় জগদ্দলের মেঘনা মোড়। যেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বাড়ি। আর শুধুই বোমাবাজি করেই যারা তাঁরা ক্ষান্ত হয়েছিল এমনটা নয়। অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, বোমাবাজির পর গুলি ছুড়তে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা।
এদিন বিজেপি নেতা বললেন, ‘আমার তখন ওই সাড়ে ১২টা বাজে। আমি টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই বাইরে তুমুল চিৎকার চলছে। পুজো মণ্ডপে দুই দলের মধ্য়ে গালিগালাজ করা নিয়ে বচসা বেঁধে যায়। ওই সময় মণ্ডপেই বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন ছিল। ওরা একটা গোষ্ঠীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় বোমাবাজি।’
তাঁর সংযোজন, ‘পাশে একটি নির্মীয়মান মন্দির রয়েছে, সেটির দেওয়ালের ওপার থেকে দেখি বোমা ছুড়ছে, গুলি করছে। আমার কাছে ভিডিয়ো রয়েছে। পুলিশ দেখি পালাচ্ছে। তখনই আমি তেড়ে গিয়েছি, সব পালিয়ে যায়। এই বেচারা পুলিশদের খুব বাজে অবস্থা। যে ভাবে বোমা-গুলি চালিয়েছে, পাল্টা গুলি চললে কারওর মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকত। সবটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’ এই বোমাবাজির মাঝে পড়ে ক্ষতি হয়েছে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সঞ্জয় সিংয়ের। যে এলাকায় বোমা পড়েছে, গুলি চলেছে, সেখানেই খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ছিল নেতার ভাইপোর গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ইট-পাটকেল ছুড়ে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।