Barun Biswas Sister: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গতিবিধি…’, বিচারের আশায় ঘুরছেন বরুণ বিশ্বাসের দিদি

Barun Biswas: সরকারের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ রয়েছে তাঁর মনে। বলছেন, 'এখনও চক্রান্ত চলছে, যাতে বিচার না হয়। সরকারই এটা করছে। চার বার সরকারি আইনজীবী পাল্টানো হয়েছে। দশ বছর পার হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত কিছু হল না। আমরা কোনও সুরাহা পেলাম না।'

Barun Biswas Sister: 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গতিবিধি...', বিচারের আশায় ঘুরছেন বরুণ বিশ্বাসের দিদি
কী বলছেন বরুণ বিশ্বাসের দিদিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2024 | 10:41 PM

বনগাঁ: ২০১২ সালের ৫ জুলাই। সুটিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় এক বছর পর ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় সেই মামলায়। এখনও চলছে সেই মামলা। বরুণ বিশ্বাস খুনের মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যদিও পরে সকলেই জামিন পেয়ে যান। একজন অভিযুক্তের মৃত্যুও হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু বিচার এখনও মেলেনি বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের। একরাশ হতাশা নিয়ে, সিআইডির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন মৃত বরুণ বিশ্বাসের পরিবার।

বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বনগাঁ অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেশন জাজ ফাস্টট্রাক ১ আদালতে বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস এই মামলায় সাক্ষী হতে চেয়ে আবেদন জানান।

সরকারের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ রয়েছে তাঁর মনে। বলছেন, ‘এখনও চক্রান্ত চলছে, যাতে বিচার না হয়। সরকারই এটা করছে। চার বার সরকারি আইনজীবী পাল্টানো হয়েছে। দশ বছর পার হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত কিছু হল না। আমরা কোনও সুরাহা পেলাম না।’

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও মুখ খুললেন তিনি। বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা বিশ্বাসের দাবি, “আমি ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গতিবিধি আমি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যক্ষ করেছি। আমার ভাই সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। আর উনি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।”

প্রমিলা বিশ্বাসের দাবি, এর আগে করোনার সময়ে একবার তাঁর বাবাকে ডাকা হয়েছিল। সেই সময় যাতে বাড়িতে গিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় আদালতে। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে ফের আদালতের কাছে সমনের জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাঁর বাবার কাছে কোনও সমন যায়নি বলে দাবি প্রমিলা দেবীর।