
সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে বিজেপির সভায় পদে পদে বিপত্তি। তোরণ ভাঙা, বিরোধী দলনেতার পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ। তারপর আবার সভায় লোডশেডিং। শুধু তাই নয়, সভার মধ্যেই বারবার বন্ধ হয়ে গেল লাউড স্পিকার। সব কিছুর পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে এমনটাই অভিযোগ শুভেন্দুর।
এ দিন, শুভেন্দু দাবি করেন, এই দুষ্কৃতীদের মাথায় হাত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদের জব্দ করতে গেলে বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোটা রাজ্যের হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার আবেদন করব। কারণ হিন্দুরা যদি একত্রিত না হলে আপনারা বাঁচতে পারবেন না। বাংলাদেশ আপনাদের কাছেই। সেখানে কীভাবে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে দেখুন।” এখানেই শেষ নয়, আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু পরিষ্কার বলেন, “এই সব করে হয় না।”
প্রসঙ্গত, আজ রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল সন্দেশখালিতে। সেই কারণেই একটি তাঁর ছবি দেওয়া একটি লড় তোরণ তৈরি করা হয়। সেই গেটটি ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। যদিও, বিরোধী দলনেতা যাওয়ার আগে এই গেটটি ঠিক করে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে রাতের বেলা এইসব করা হয়েছে। এমনকী এ দিন যখন শুভেন্দু মঞ্চে ওঠে তার আগে লোডশেডিং হয়ে যায়। জেনারেটরও ঠিক ভাবে কাজ করেনি। এমনকী বিরোধী দলনেতার বক্তৃতা চলাকালীন কখনও মাইক বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কখনও বা বক্স বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এ দিকে, এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “তৃণমূলের উপর দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা ওদেরই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। একদিকে দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠী, অন্যদিকে শুভেন্দুর গোষ্ঠী। এখন তো মানুষ পোস্টার ছিড়ছেন। এরপর দেখবেন ওকেই ছিঁড়ে ফেলবে সন্দেশখালি থেকে। কারণ এখানে যে নোংরা খেলা খেলেছেন সেটা গোটা বাংলার মানুষ জানেন।”