AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু, তৃণমূলের কোনও যোগ নেই’, নিমতার সেই বৃদ্ধার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া সৌগতর

নিমতার 'প্রহৃত' বৃদ্ধার  (Nimta Case) মৃত্যুর বললেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায় (Sougata Roy)।

'বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু, তৃণমূলের কোনও যোগ নেই', নিমতার সেই বৃদ্ধার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া সৌগতর
সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া
| Updated on: Mar 29, 2021 | 3:12 PM
Share

নিমতা: “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। বয়সজনিত কারণে মারা গিয়েছেন। সব ব্যাপারে রাজনৈতিক কারণ খোঁজাটা বাজে ব্যাপার।” নিমতার ‘প্রহৃত’ বৃদ্ধার  (Nimta Case) মৃত্যুর বললেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায় (Sougata Roy)।

সোমবার ভোর মৃত্য়ু হয় নিমতার পাটনা ঠাকুরতলার আশি বছরের বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিমতায় নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধা। এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত কয়েকজন যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মূলত শোভারানির ছেলে বিজেপি কর্মীর ওপরেই ছিল সেই হামলা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। সেটা ছিল শুক্রবার। রাত দেড়টা নাগাদ নিমতার বাসিন্দা গোপাল মজুমদারের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। পরিবারের অভিযোগ, দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় গোপাল মজুমদারকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত মা-ও।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে সুরক্ষিত নন মায়েরাই। বাংলার মেয়ে স্লোগানে কটাক্ষ করে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্যরা। বৃদ্ধার সেই ছবি পোস্টার করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টানানো হয়েছে। তাতে ইংরাজিতে লেখা, ‘ইজ সি নট অ্যা ডটার অফ বেঙ্গল?’

এরপর ১ মার্চ তাঁকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিং। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর চার দিন আগে বৃদ্ধাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে অমিত মালব্য ট্যুইট করেন।

অমিত ট্যুইটে লেখেন, “বাংলার মেয়ে, কারোর মা, কারোর বোনের আজ মৃত্যু হল। তৃণমূলের লোকেরা নৃশংসভাবে তাঁকে মারধর করেছিল। সহানুভূতি জানিয়ে এক শব্দও ব্যয় করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের ক্ষত কে পূরণ করবে? ”

আরও পড়ুন: বাসন্তীতে ‘গুলিবিদ্ধ’ তৃণমূল কর্মী

ঘটনা প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি প্রথম থেকেই অনেক হইচই করছে। যে কারোর মৃত্যুই দুঃখজনক। বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সব বিষয়ে রাজনীতি করাটা বাজে ব্যাপার।” টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও।

ডেরেক ও’ব্রায়েনও বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু কয়েকজন পর্যটক সেটাকে নিয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে আর বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।” বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, “বিজেপি নারী নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে! কিন্তু ওদের রেকর্ড কী বলছে?”