Sundarban: ক্ষতি ধানচাষে, মরছে মাছ, ৩০০ ফুটের বাঁধ ভাঙায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনবাসী
Sundarban: জানা গিয়েছে, বসিরহাটের সন্দেশখালি ২নং ব্লকের মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে আতাপুর, তালতলা ও মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। বাড়িঘর ছাড়া প্রচুর মানুষ।
সুন্দরবন: নিম্নচাপ হোক বা ঝড়ের তাণ্ডব কিংবা ভারী বৃষ্টি! সুন্দরবনের নিস্তার নেই। প্রায় সারা বছরই সেখানকার মানুষদের বুক দুরুদুরু করে এই বুঝি আবার আকাশ করে এল! আয়লা-আমফান-ইয়াস কী দেখেনি সেখানকার বাসিন্দারা। লণ্ডভণ্ড করে যেটুকু ছিল তাও কেড়ে নিয়ে গিয়েছে তারা। তবে একটু-একটু করে ফের পরিস্থিতি সামলে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সুন্দরবনের মানুষজন। কিন্তু ওই যে, প্রকৃতির বাঁকা নজর যেন কিছুতেই এই জায়গা থেকে সরে না। আবারও বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত হল সুন্দরবন। প্রায় ৩০০ ফুট নদীবাঁধ গিয়েছে ভেঙে। হুরহুর করে রায়মঙ্গল ও কলাগাছি নদীর নোনা জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। নোনা জলে নষ্ট হচ্ছে বহু ধান জমি। পুকুরের মিষ্টি জলে নোনা জল ঢুকে মরে যাচ্ছে বহু মাছ। কী করবেন এলাকাবাসী ভেবে কুল পাচ্ছেন না। অমাবস্যার ভরা কোটাল পরবর্তী জলোচ্ছ্বাসের জন্যই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। তবে সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়েছে সেচ দফতর।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের সন্দেশখালি ২নং ব্লকের মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে আতাপুর, তালতলা ও মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। বাড়িঘর ছাড়া প্রচুর মানুষ। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে বাঁশের পাইলিং দিয়ে বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করছেন তাঁরা। একদিকে নদীর প্রচণ্ড স্রোত অন্যদিকে জলস্তর এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে বাঁধ পাইলিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেচ দফতরের কর্মীদের। সামনেই আবার নিম্নচাপের আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবনবাসী।
এ দিন, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশের স্থায়ী সমিতির সদস্য শেখ শাহজাহানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে সন্দেশখালি ২নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রওফান মোল্লা ও মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি বাঁধ মেরামতি কাজের তদারকি শুরু করেছেন।সেচ দফতরের আধিকারিক শান্তনু মণ্ডল বলেন, “নদীর বাঁধ অনেক বড়ভাবে ভেঙেছে। বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। আমরা চাইছি দ্রুত বাঁধ সারাই এর কাজ শেষ হোক। কারণ এর পরে আরও যদি বড় বিপর্যয় আসে সে ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।”