Suvendu Adhikari: ‘২০১১ সালে হয়েছিল…’, বাংলার ভোটে কমিশনকে ‘বিশেষ দাওয়াই’ দেওয়ার আর্জি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: বঙ্গ বিজেপির উত্থানের পর থেকেই নানা সময়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি শোনা গিয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং, তার আগে স্বাভাবিক ছন্দে এই দাবি ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Suvendu Adhikari: ২০১১ সালে হয়েছিল..., বাংলার ভোটে কমিশনকে বিশেষ দাওয়াই দেওয়ার আর্জি শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

May 26, 2025 | 9:21 AM

ব্যারাকপুর: ফের একবার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচন করানোর দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার সেই দাবির সঙ্গে জুড়ে দিলেন ‘বিশেষ দাওয়াই’য়ের কথা। শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলার পরিবেশ অন্য রকম, এখানে বিশেষ দাওয়াই লাগবে।’

কিন্তু কী এই বিশেষ দাওয়াই? সেই ব্যাখ্যাও খানিকটা দিয়েছেন শুভেন্দু। রবিবার ভাটপাড়ায় অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য ও সেনার সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মিছিল বের করেছিল বঙ্গ বিজেপি। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং ও কৌস্তভ বাগচী।

বছর ঘুরলেই বাংলায় নির্বাচন। আর তার আগে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু। বাংলা নির্বাচন হলে তৃণমূলের হার হবে বলেই মনে করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘পঞ্জাবে কংগ্রেসের যে অবস্থা হয়েছে। বাংলায় তা তৃণমূলের হবে, যদি ভোট হয়।’ এরপরেই তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলায় এমন ৬০-৭০টা আসন রয়েছে যেখানে ভোটই হয় না। নির্বাচন কমিশনকে বলব ওই দুই মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করাক।’

এই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর কাছে প্রথম নয়। বঙ্গ বিজেপির উত্থানের পর থেকেই নানা সময়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি শোনা গিয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং, তার আগে স্বাভাবিক ছন্দে এই দাবি ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে বাংলায় ‘বিশেষ দাওয়াই’ দেওয়ার কথাও বলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘বাংলার পরিবেশ অন্য রকম, এখানে বিশেষ দাওয়াই লাগবে। নির্বাচন কমিশনের হাতেই সেই ক্ষমতা আছে। ২০১১ সালে কমিশন ভোট করিয়েছিল। সিপিএমের একটা গুন্ডাকেও বাড়ি থেকে বেরতে দেয়নি। ওই রকম নির্বাচন আবার হলে তৃণমূলের ফেরা কঠিন।’