হিঙ্গলগঞ্জ : আবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। অনুমতি না মেলায় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বাতিল হল শুভেন্দুর সভা। শনিবার সংকল্প সভা হওয়ার কথা ছিল হিঙ্গলগঞ্জে (Hingalgunj)। প্রথমে জমি জটে আটকে গিয়েছিল সভা। পরে অন্য একটি মাঠ বেছে নিলেও পুলিশে অনুমতি মেলেনি। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।
আজ শনিবার, বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার রামেশ্বরপুর-বরুনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুনহাটের একটি মাঠে বিজেপির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সংকল্প সভায় যোগদানের কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু সেই সভাস্থলে জমিজট থাকায় সভা স্থগিত করা হল। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে তাঁরা বরুণহাটেরই একটি মাঠে সভা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু জমির মালিকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বরুণহাটেরই অপর একটি জমি বেছে সেখানে সভা করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ ওই মাঠের এনওসি দেয়নি। পাশাপাশি হাইকোর্ট থেকেও এই সভার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। সেই কারণেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এই সভা। হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি। তারপরে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় সভা করা হবে অথবা আদৌ সেই সভা হবে কি না।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, কেন সভা করা গেল না, তা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে দেওয়া হবে না। তাঁর দাবি, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় বহু বিজেপি কর্মীর ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় তিনজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সমীক দাবি করেন, একজনের মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের হাসনাবাদ ব্লক এক সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম সভা হবে, কিন্তু জমি নিয়ে মালিকদের সমস্যার জেরেই সভা হয়নি। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।’