হাবড়া: শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা। বিকেলেই নেমে এসেছিল রাত্রিবেলার অন্ধকার। বোঝা দায় যে আদৌ বিকেল নাকি তখনই নেমেছে রাত। ঝড়ের সঙ্গে চলে প্রবল বৃষ্টি। ঝড়ের দাপটে কলকাতা শহরের বুকে ভেঙে গিয়েছে একাধিক গাছ। বাদ পড়েনি উত্তর ২৪ পরগনার যশোর রোডও। গতকাল রাতে যশোর রোডের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।
রাস্তার পাশে থাকা একটি অশ্বত্থ গাছের ডাল এদিন যশোর রোডের উপর রাত দেড়টা নাগাদ ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, হাবড়া সপ্তপল্লী মোড়ে এলাকায় প্রথম থেকেই অশ্বত্থ গাছটি বিপজ্জনকভাবে ছিল। সেই গাছের ডাল ভেঙে শনিবার মধ্যরাতে যশোহর রোড অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর রাস্তার দু’পাশে গাড়ি সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে। হাবড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রাস্তায় গাছের ডাল কেটে যশোর বোর্ড পরিষ্কার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হাবড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহা । দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর গাছের ডাল কেটে সরিয়ে যানজটমুক্ত করে হাবড়া থানার পুলিশ।
এর আগে দেখা গিয়েছে বনগাঁ শহর রাস্তার পাশে থাকা গাছের ডাল ভেঙে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তর নির্দেশে শনিবার সকাল থেকেই বনগাঁ শহরের বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছের ডাল কাটা শুরু হয়।
বস্তুত, শনিবার বিকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী ঝড়। বিকাল হতেই কলকাতার আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। প্রবল বেগে হাওয়া বইতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি। এই ঝড়-বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ে গাছ। কলেজ স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর মতো বেশ কয়েকটি রাস্তায় জল জমে। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে ভেঙে পড়ে গাছ। কলকাতার পাশাপাশি মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। ঝড়ের জেরে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ কিশোরের। বাঁকুড়া শহরেই গাছ পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। গাছ পড়ে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।