Matua Mela: তোড়জোড় শুরু মতুয়া মেলার, আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও, এ দিকে মমতার শুভেচ্ছার অপেক্ষায় মমতা
Matua Community: পাশাপাশি আর কিছু সময়ের মধ্যেই ঠাকুরনগর মতুয়া ধামে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

বারাসত: মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম জন্মতিথি উপলক্ষে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে মতুয়া মেলা। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে শুরু হচ্ছে সেই মতুয়া ধর্ম মহামেলা। সেই মেলা নিয়েই শুক্রবার টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আর কিছু সময়ের মধ্যেই ঠাকুরনগর মতুয়া ধামে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। উপস্থিত রয়েছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি।
এ দিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও রেল মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব। আন্দামান থেকে ১ হাজার ২০০ জন যাত্রী জাহাজে এখানে আসছেন। ৮ টি এক্সপ্রেস ও ৩০টি লোকাল ট্রেন চলছে যাতে ভক্তদের আসতে অসুবিধা না হয়। এই সকল উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁরা মতুয়াদের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যা প্রশংসনীয়।”
সূত্রের খবর, বারুনির স্নানের আগে স্নানের আগে ঠাকুরনগরে আসতে শুরু করেছেন প্রচুর ভক্ত। শান্তনু ঠাকুরের দাবি, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে এই বছরে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মেলা উপলক্ষে উদ্যোগ নিতে দেখা গেলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও শুভেচ্ছা বার্তা না আসায় কার্যত আক্ষেপের সুর তৃণমূল নেত্রী মমতা বালা ঠাকুরের গলায়। তবে তিনি মনে করছেন, আগামিকাল বারুনির স্নান। তার আগে রাজ্য সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রী তরফের শুভেচ্ছা বার্তা এসে পৌঁছবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মতুয়া মেলা নিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ করেছেন মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের কথাও। সেই টুইটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূল নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা এখনও না আসায় বিতর্ক যে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, মতুয়াদের সম্প্রদায়কে প্রকাশ্যে সেই ভাবে আসতে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছিল বিজেপি। খোদ শান্তনু ঠাকুরের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এগোতে দেওয়া হয়নি মতুয়াদের। তবে বিজেপি বরাবরই তাঁদের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মতুয়াদের সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এই চাপানোতরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা কখন আসে বা আদৌ আসে কি না তাই এখন বিবেচ্য বিষয়।





