Basirhat Bomb Blast: ঝলসানো চোখ আর পায়ে রড নিয়ে ‘প্রতিশ্রুতি’ পূরণের আশায় দিন গুনছেন নারায়ণ
Basirhat: যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতিই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবে তা এখনও রূপান্তরিত হয়নি। মৃতের স্ত্রী সুষমা মন্ডল ছেলে গৌর মন্ডলকে নিয়ে কোনও রকমে দিন অতিবাহিত করছেন আর্থিক অনাটনের মধ্য দিয়ে।
বসিরহাট: পূরণ হয়নি প্রতিশ্রুতি। মেলেনি আর্থিক সাহায্য। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা বিস্ফোরণে আহত ও মৃতের পরিবারের সদস্যরা এখন কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। বসিরহাটের হাড়োয়া ব্লকের সোনাপুকুর-শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বাসিন্দারা এখন প্রশাসনের সাহায্যের আশায় নিহতদের পরিবার। চলতি বছরের ৩ জুলাই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর ৪৮-এর বাউল শিল্পী পরিতোষ মণ্ডলের। পাশাপাশি বছর ছত্রিশের নারায়ণ পালিত আহত হন। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে মৃত তৃণমূল সমর্থক তথা বাউল শিল্পী পরিতোষ মণ্ডলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তারপরে কেটে গিয়েছে আড়াই মাস। মিটেছে পঞ্চায়েত ভোটের পর্বও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই মেলেনি, দাবি পরিবারের।
যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতিই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবে তা এখনও রূপান্তরিত হয়নি। মৃতের স্ত্রী সুষমা মণ্ডল ছেলে গৌর মণ্ডলকে নিয়ে কোনওরকমে দিন অতিবাহিত করছেন আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে। দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারকে মাঝে মধ্যে শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং গ্রামবাসীরা মিলে সাহায্য করছে চাল ডাল ও অন্যান্য সামগ্রিক দিয়ে। কিন্তু ঠিকমতো চলছে না তাদের সংসার। সুষমার দাবি, “সরকার যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় সে ক্ষেত্রে উপকৃত হব।” অন্যদিকে আহত নারায়ণ পালিতের পরিবারও চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দিনমজুরের এই পরিবারের নুন আনতে পানতা ফুরানো অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে নারায়ণ পালিতের দুই চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং পায়ে রড বসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের লোকজন ঠিকভাবে ওষুধও কিনতে পারছেন না। সরকারি সাহায্য দাবি করেছেন তাঁরাও। সব মিলিয়ে দুটি পরিবার এখন সরকারের সাহায্যের আশায় তাকিয়ে আছে। তৃণমূল নেতা আবু হাসেম অবশ্য বলেছেন, “সব রকমের চেষ্টা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”