Titagarh: ‘পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়, তবুও হেঁটে বাড়ি ফেরে অমর’… রক্ত রঙে মিশে যাওয়ায় বোঝেইনি কেউ!
Titagarh: প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ পবন রাজভর, কানাই তিওয়ারি, রাজ তিওয়ারি-সহ আরও এক জন বাইকে আসে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে নিহত যুবক অমরের সঙ্গে পুরনো একটি ঝামেলা টেনে গালিগালাজ শুরু করেন পবন।

উত্তর ২৪ পরগনা: রঙের উৎসবে রক্তের হোলি! রক্তে ভিজল টিটাগড় শিল্পাঞ্চল। প্রকাশ্যে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে খুন করা হল এক যুবককে। অমর চৌধুরী নামে ওই যুবক আবার তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। কতটা নৃশংস ভাবে খুন করা হল তাঁকে, প্রত্যক্ষদর্শীর কথা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পবন রাজভর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ পবন রাজভর, কানাই তিওয়ারি, রাজ তিওয়ারি-সহ আরও এক জন বাইকে আসে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে নিহত যুবক অমরের সঙ্গে পুরনো একটি ঝামেলা টেনে গালিগালাজ শুরু করেন পবন। প্রতিবাদ করায় অমর চৌধুরীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় পবনের। তারপর অমর চৌধুরী পবনদের পাড়ায় যায়। দুই পাড়ার মধ্যে দূরত্ব মোটামুটি ২০০ মিটারের মতো। কিন্তু অমরের পিছু নেয় দীনেশ নামে এলাকারই এক যুবক। দীনেশ গিয়ে দেখেন, অমরকে পিছমোড়া করে বেঁধেছে দুই যুবক। আর ছুরি চালাচ্ছে পবন।
দীনেশ বলেন, “প্রথমে এসে ওরা গালাগালি দিল। ৩১ ডিসেম্বরে পবনের সঙ্গে একটা ঝামেলায় ওরা বলেছিল, তোকে মেরে দেব আমরা। এদিন এসে গালাগালি দিল। তখন কিছু হয়নি। আবার ১৫-২০ মিনিট পর এসে ওরা অমরকে ডাকছিল। তারপর এসে হাতাহাতি শুরু হয়। পাড়ার বড়রা ছাড়িয়ে দেয়। আমরা অমরকে বাড়িই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ও কোন ফাঁকতালে পবনদের পাড়ায় ঢুকে যায়। আমি ওকে খুঁজতেই যাই। আমি দেখলাম, কানাই-রাজ তিওয়ারি ধরে রেখেছিল। পবন ওকে ছুরি দিয়ে মারছিল। ওদের পাড়ার আরও ১০-১২ জন ছিল। আমরা ছেলেপিলে নিয়ে যাই। তখন ওরা পালিয়ে যায়। অমর হেঁটেই পাড়ায় ঢোকে, তখনও বুঝিনি ওর কতটা লেগেছে।”
স্থানীয় যুবকরাই জানাচ্ছেন, এই পবন রাজভরের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক কেস রয়েছে। চুরি, ডাকাতি, এলাকায় বোমাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগেই জেল খেটেছে সে।





