উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত আমডাঙা। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আমডাঙার কুমারদানি গ্রামে।সংঘর্ষে এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। আহতদের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকায়। সোমবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। আচমকাই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকায় হতে থাকে বোমাবাজি। অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যেই চলে উন্মত্ত দাপাদাপি।
তৃণমূলের অভিযোগ, আইএসের ছেড়ে ঘাসফুলে যোগদান করাতেই হামলা চলছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়া নতুন কর্মীদের ওপর বোমাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আইএসএফ সমর্থকের দাবি, এক শিশুকে মারধর করার প্রতিবাদ চাইতে যাওয়ায়, তাঁদের ওপরেই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
এদিনের সংঘর্ষের সূত্রপাত ঠিক কোথা থেকে? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, পুরোটাই একটা গ্রাম্য বিবাদ। এক বাড়ির বাচ্চাকে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। বাচ্চাটির পরিবার আইএসএফের সমর্থক। অন্যদিকে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূল করেন। বাচ্চাটিকে মারধরের প্রতিবাদ করতে তাঁর বাড়ির সদস্যরা তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে যান। অভিযোগ, তখনই ঝামেলার সূত্রপাত। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা করেন। হাঁসুয়া, কুড়ুল নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ। খবর ছড়াতেই গ্রাম্য বিবাদ চেহারা নেয় রাজনৈতিক বিবাদের। আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষ নতুন চেহারা নেয় এলাকায়। এলাকায় হতে থাকে বেপরোয়া বোমাবাজিও। সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই আহত হয়েছেন মোট ১০ জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ।
এক আইএসএফ সমর্থক বলেন, “বাচ্চাটাকে মেরেছিল ওরা। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। উল্টে অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপরেই হামলা চালাল।” যদিও তৃণমূল সমর্থকের বক্তব্য, “আমরা নই, ওরাই হামলা চালিয়েছে। আমরা শুধু প্রতিরোধ করেছি।”