উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত ‘অর্জুন গড়’। তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল ভাটপাড়া। শাসক শিবিরের অভিযোগ, ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি চিঠি পাচ্ছিলেন। তারপরেই সোমবার রাতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৃণমূল নেতা চন্দন দাস। তাঁর হাতের আঙুলে গুলি লেগেছে।
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, আক্রান্ত তৃণমূল যুব সভাপতি বেশ কিছুদিন ধরে বেনামী হুমকি চিঠি পাচ্ছিলেন। কে বা কারা সেই চিঠি দিচ্ছিল জানা যায়নি। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। সেই হমকি চিঠিতে লেখা হয়েছিল টাউনে এলে ওই তৃণমূল নেতাকে দেখে নেওয়া হবে। আক্রান্ত, তৃণমূল নেতা চন্দন দাস জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বাইরে ছিলেন। সেইসময় তাঁকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য রেহাই পান তৃণমূবে নেতা।
ভাটপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধর্মপাল গুপ্ত বলেন, “শিল্পনগরীতে ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল। শাসক শিবিরেরে এই ‘উত্থান’ মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। চন্দন দাস এলাকার সক্রিয় কর্মী। ফলে, দলের শক্তি ক্ষয় করতে বিজেপি এই কাজ করেছে।” পাল্টা ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “এই ঘটনায় বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।”
ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আদি ও নব্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই গুলি-কাণ্ড ঘটেছে। তবে এর পেছনে আর কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভাটপাড়া পুরসভার ভেতরে গুলি চলার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল। ঘটনায়, মুখ্য পুরপ্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বরাবর ‘সংবেদনশীল এলাকা’ বলেই পরিচিত হয়েছে ভাটপাড়া। বোমাবাজি, গুলিবর্ষণের মতো ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক। ফের আবার তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। শিল্পনগরীতে নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যেই থানার সংখ্যা বাড়িয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বছরের মধ্য়েই বর্ধিত থানা তৈরির কাজ শেষ হবে। আরও পড়ুন: পুরসভায় গুলিকাণ্ডের জের, ইস্তফা ভাটপাড়া মুখ্য পুরপ্রশাসকের