
বনগাঁ: রাজ্যে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বনগাঁয় সভা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কে সভা থেকে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করলেন। কেন তাড়াহুড়ো করে ২ মাসে এসআইআর করা হচ্ছে, তা নিয়ে ফের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। এই সভা থেকেই মতুয়াদের অভয় দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, “আমরা থাকতে আপনাদের তাড়াতে দেব না। আমি বলছি, আপনারা ভয় পাবেন না।” একইসঙ্গে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে খেলতে এসো না।”
এদিন প্রথমে হেলিকপ্টারে বনগাঁর সভায় যাওয়ার কথা ছিল মমতার। কিন্তু, হেলিকপ্টারের বিমা বা ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এদিন হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হয়নি। শেষে সড়কপথে বনগাঁ যান তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সভাতে সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “প্রথমেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই। আমার আসতে একটু আসতে দেরি হয়েছে। এর পিছনে একটা মজা রয়েছে। মজাটা কী। আমি গত সাত আট মাস হেলিকপ্টার ব্যবহার করি না। গাড়িতেই জেলায় জেলায় যাই। আজকে যেহেতু এখানে একটা সভা রয়েছে। তারপর ঠাকুরনগর যাব। ঠাকুরনগর থেকে ফিরতে হবে। সরকারের একটা হেলিকপ্টার নেওয়া রয়েছে। আমার বেরনোর আগে হঠাৎ খবর এল, হেলিকপ্টার যাবে না। আমি দেখলাম, দারুণ মজার খবর তো। নির্বাচনই শুরু হল না, তার মধ্যেই কনফ্রন্টেশন শুরু হয়ে গেল। কিন্তু, ওরা বুঝল না, এতে আমার ভালই হল। কারণ, আমি রাস্তায় আসতে আসতে প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমার জনসংযোগ হল। আমি বিজেপিকে বারবার বলি, ওরে আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমার সঙ্গে খেলতে গেলে আমি যে খেলাটা খেলব, সেই খেলায় তোমরা আমাকে ধরতেও পারবে না। ছুঁতেও পারবে না। নাগালও পাবে না।”
বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সারা ভারত সরকার বসে থাকো। সব এজেন্সি নিয়ে বসে থাকো। কোটি কোটি টাকা খরচ করো। টাকা গুঁজে গুঁজে দাও। মানুষ টাকা নেবে, কিন্তু মানুষ ভোট দেবে না। তুমি একবার টাকা দেবে, বছরের পর বছর চলবে কী করে।”
নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে বাংলায় তিনি রয়েছেন জানিয়ে মমতা বলেন, “আমি যদি কিছু ধরি, শেষ করে ছাড়ি। আমি ভোটের রাজনীতি করি না, মানুষের রাজনীতি করি। তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে আমরা কারও গায়ে হাত দিতে দেব না। রাস্তাই আমায় রাস্তা দেখায়।”
এসআইআর নিয়ে কমিশনকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এসআইআর করতে ৩ বছর লাগে। আমরা এসআইআরের বিরোধী নই। কিন্তু, কেন ২ মাসে করা হচ্ছে?”