
বসিরহাট: হঠাৎ ঘন কালো করে আকাশ। বৃষ্টি হবে এমনটা আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু হঠাৎ করেই লাট্টুর মতো পাকিয়ে ওঠে ঝোড়ো হাওয়া। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংস সব! দু’মিনিটের টর্নেডোয় তছনছ গোটা গ্রাম। ভেঙে পড়েছে গ্রামের একাধিক বাড়ি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে গোটা দক্ষিণবঙ্গ ভিজছে। তার মধ্যেই টর্নেডোয় বিধ্বস্ত হল সুন্দরবন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বাজার ও কয়েকটি গ্রাম।
বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার দুপুরে আচমকাই টর্নেডো শুরু হয়। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় চতুর্দিক। দু’মিনিট ধরে চলে এই ভয়ানক পরিস্থিতি। যার জেরে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেয়াড়ি, আমতলা ও জয়গ্রামের মতো বেশ কিছু গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সকাল থেকেই চলছিল অঝোরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই হঠাৎ করে টর্নেডো চালু হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ এই ঝড় আসায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, প্রায় একশো কিলোমিটার বেগে এই ঝড় শুরু হয়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে যথেষ্টই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েকটি গাছও ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর। যার ফলে অবরুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। বেশ কিছু রুটের বাস, লরি, অটো ও টোটো বন্ধ রয়েছে। পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, হুগলির চুঁচুড়া বিধানসভার কোদালিয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনাভারুই গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্ষণিকের ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছ-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।