ব্যারাকপুর: গোটা রাজ্য যখন হোলি দোলের উৎসবে মেতে উঠেছে তখন ফের রক্তে ভিজে গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মাটি। তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠকে রঙ খেলার কথা বলে ডেকে এনে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। দুপুর ২টো নাগাদ ঘটা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে টিটাগড়ের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃতের নাম অমর চৌধুরী। পুরনো বিবাদের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় অভিযুক্ত পবন রাজভরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে এলাকায় রয়েছে একটি মিল। সেই মিলে লোক ঢোকানো নিয়ে ঝামেলা থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে স্থানীয়দের একটা বড় অংশের মত। তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এলাকায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার পর অমর চৌধুরীর দাদা কৃষ্ণ চৌধুরীই তাঁর ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি বলছেন, “পবন রাজভর, কানাই তিওয়ারি, রাজ তিওয়ারিরা এর পিছনে রয়েছে। এর সকলে মিলের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত।” তাহলে কী বরাত নিয়ে ঝামেলার জেরেই এ ঘটনা? কৃষ্ণ যদিও বলছেন, মিলে লোক ঢোকানো নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল বলে জানি না। তবে কারখানা নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। কী থেকে কী হয়েছে জানি না। অনেক কিছু হতে পারে।
ঘটনাস্থলে এসেছিলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিকাশ সিং। মৃত অমর চৌধুরী তাঁর সঙ্গেই রাজনীতি করতেন বলে জানাচ্ছেন তিনি। বিকাশের কথায়, “আমি শুনলাম পবন রাজভর ওকে চাকু দিয়ে মেরে দিয়েছে। অমর আমার সঙ্গেই থাকতো। ছাত্র রাজনীতি করতো। আমি যখন থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করি তখন থেকেই ও আমার সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করতো।”
কাউন্সিলর বিকাশ সিংয়ের আরও দাবি, পবন ২০২১ সালে বিজেপি করতো। এরপর অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে যায়। মাস চারেক আগে সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়েছে পবন। ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের রাতে পবনের সঙ্গে জয়শ্রী গেটের সামনে মারপিট হয় অমরের। এই ঘটনাতে থানায় অভিযোগ হয়েছিল বলে দাবি অমরের প্রতিবেশীদের। জেলা থেকে বেরনোর পর ৩১ ডিসেম্বরের ঘটনা ছাড়া আরও একাধিক ঘটনায় পবনের নাম জড়িয়েছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।