বন্ধ সরকারি স্কুলে পরীক্ষা! TV9-এর খবরের জেরে নতিস্বীকার স্কুল কর্তৃপক্ষের

Barrackpore: পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই স্কুলের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় TV9 বাংলা। সংবাদমাধ্য়মকে দেখেই স্কুলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের ভেতর গাড়ি ঢুকিয়ে পড়ুয়াদের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বন্ধ সরকারি স্কুলে পরীক্ষা! TV9-এর খবরের জেরে নতিস্বীকার স্কুল কর্তৃপক্ষের
সেই স্কুল, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 2:01 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা আবহে সর্বত্র বন্ধ স্কুল-কলেজ। রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল-কলেজ খোলার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও স্কুলে বসিয়ে অফলাইনে হচ্ছে পরীক্ষা! হিন্দি বা বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিতে স্কুলে আসছেন (Offline Examination) নবম শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা। চাঞ্চল্য়কর এই ছবি সর্বপ্রথম তুল ধরা হয় TV9 বাংলার ক্যামেরায়। ব্যারাকপুর সেক্রেড হার্ট ডে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পরে সংবাদমাধ্যমের চাপে পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়।

স্কুলপড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, কোভিডের জন্য এতদিন পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু, স্কুলের তরফে মেসেজ করে জানানো হয় পরীক্ষা দিতে হবে। অফলাইনেই পরীক্ষা (Offline Examination) হবে। স্কুল নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফলাইন পরীক্ষার জন্য আপত্তি করেননি অভিভাবকদের একাংশও। ফলে বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ স্কুল গেটে জমা হন পড়ুয়ারা। হিন্দি ও বাংলার ভাষার পরীক্ষা দিতে আসেন নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা।

এক অভিভাবকের কথায়, “আমাদের মেসেজ করে জানানো হয়েছিল অফলাইন পরীক্ষা হলে কোনও অসুবিধা হবে কি না! কিছু অভিভাবক ও পড়ুয়া জানান পরীক্ষা নিলে  অসুবিধা নেই। তাই বাধ্য় হয়েই সকলকে পরীক্ষায় বসতে হয়। তবে সরকারি নিয়ম  ভেঙে এভাবে অফলাইনে পরীক্ষা হওয়া রীতিমতো অন্যায়। এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়।” সাবা খান নামে এক পড়ুয়া বলেন, “আমাদের মেসেজ করে স্কুলে আসতে বলা হয়। পরীক্ষা হবে। তাই আমরা পরীক্ষা দিতে এসেছি। এর বেশি আর কিছুই জানি না।”

পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই স্কুলের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় TV9 বাংলা। সংবাদমাধ্য়মকে দেখেই স্কুলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের ভেতর গাড়ি ঢুকিয়ে পড়ুয়াদের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চাপের মুখে পরীক্ষা বন্ধ করতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু অন্যান্যরা কোনও মন্তব্য় করেননি।

স্কুলের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মহকুমা শাসকের দফতর। কিন্তু, তারপরেও কী করে পরীক্ষা চলছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও মহকুমা শাসক  অভ্র অধিকারী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এই বিষয়ে জেলাশাসক সিদ্ধান্ত নেবেন। ঘটনায়  জেলাশাসক সুমিত গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা অন্যায়। সরকারি আইন এভাবে ভাঙা যায় না। কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে তা গোটাটাই তদন্ত করে দেখা হবে।”

করোনা আবহে রাজ্যে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন পুজোর পর ধীরে ধীরে স্কুল খোলা যেতে পারে। তবে কত শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে বা কোন পদ্ধতিতে স্কুল খোলা হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্য সরকার। যেহেতু, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও যায়নি এবং তৃতীয় ঢেউ আসন্ন ফলে, স্কুল-কলেজ খোলা হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্য শিক্ষা দফতর। যেহেতু, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই শিশুদের ও মায়েদের টিকাকরণে জোর দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে নিয়ম ভেঙে কী করে এইভাবে পরীক্ষা চলতে পারে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আরও পড়ুন: ক্রমেই বাড়ছে সংখ্যা, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে মোট ৩১ টি এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের