ক্রমেই বাড়ছে সংখ্যা, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে মোট ৩১ টি এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

Post Poll Violence: বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের এপিসেন্টার  নন্দীগ্রামে 'স্পট ভিজিট' সেরে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। খেজুরিতেও সরেজমিনে যান তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামেই এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর পায়ে চোট লাগার ঘটনায় তদন্তে আসেন সিআইডি আধিকারিকরা।

ক্রমেই বাড়ছে সংখ্যা, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে মোট ৩১ টি এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 9:03 PM

কলকাতা: ফের এফআইআরের (Post Poll Violence) সংখ্যা বাড়াল সিবিআই।  ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে এফআইআরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১। পূর্বেই ২৮ টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার, আরও ৩টি নতুন  এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয়  গোয়েন্দা সংস্থা।

সিবিআই সূত্রে খবর,  ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে দিল্লির দফতরেই ৯টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার আরও ২টি এবং শুক্রবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। সব মিলিয়ে দায়ের করা ২১ টি এফআইআরের ১৫টি খুনের ও ৬টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। পরে, সেই সংখ্য়া বেড়ে আরও ৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার, সেই সংখ্যা বেড়ে মোট এফআইআরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১টি।

এদিনই, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের এপিসেন্টার  নন্দীগ্রামে ‘স্পট ভিজিট’ সেরে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। খেজুরিতেও সরেজমিনে যান তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামেই এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর পায়ে চোট লাগার ঘটনায় তদন্তে আসেন সিআইডি আধিকারিকরা। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় ইতিমধ্যেই ২জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল মৃত্যু-মামলায় অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) সুপারিশকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু, সেই মামলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। অন্যদিকে, বাকি হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের তিন সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। দুই দলকেই আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।

সেই মোতাবেক, চার জোনে ক্যাম্প করে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। একটি ক্যাম্প দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। একটু ক্যাম্প হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জন্য। সেই ক্যাম্পের প্রস্তুতি কোচবিহারে। এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। কলকাতা থেকে ওত দূরে গিয়ে আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সময় সাপেক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি দুটি ক্যাম্প চলছে কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করছে এই দুটি ক্যাম্প।

উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করে যে রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশন জমা দিয়েছিল তাতে ‘নটোরিয়াস ক্রিমিন্যাল’ বলে উল্লেখ করেছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য  ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ হেনে বলেছেন, ”সিবিআই খাঁচাবন্দি তোতাপাখি।” এই তদন্তের জেরে আরও অভিযুক্তরা ধরা পড়বে বলেই আশা গেরুয়া শিবিরের। যদিও, তাতে চিত্রপট পরিবর্তন হয়নি। এ বার, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির ঘটনায় ফের জোরাল হচ্ছে শাসক-বিরোধী তরজা। আরও পড়ুন: সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর! একই দিনে CID ও CBI পৌঁছল নন্দীগ্রামে