বড় খবর! কুপন ছাড়া আর টিকা নয়, টিকাকরণে এক গুচ্ছ নয়া বিধি চালু হচ্ছে বাংলায় : সূত্র
Covid Vaccine: সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে কুপন ছাড়া কোনও ভাবেই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। কমপক্ষে ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে।
কলকাতা: একদিনের টিকাকরণে রেকর্ড তৈরি হল দেশে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনেশনে রেকর্ড তৈরি করেছে বাংলাও। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতে টিকাকরণ হয়েছে ১.০৮ কোটি জনের। অন্যদিকে রাজ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যেই টিকা প্রাপকের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪২৭ জন টিকা পেয়েছেন এই সময়ের মধ্যে। এদিনই টিকাকরণ শিবির নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের জরুরি বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাতেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে দাবি সূত্রের। কলকাতা মডেলকে সামনে রেখে এবার কুপন ছাড়া রাজ্যে টিকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
২৮ অগস্ট রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছিল ৫ লক্ষ ৬০ হাজার। এটিই ছিল রাজ্যের এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ টিকাকরণ। তিন দিনের মধ্যেই প্রায় দ্বিগুণ টিকাকরণ করে সেই রেকর্ড ভাঙা হল। এই পরিসংখ্যানে আরও আশাবাদী স্বাস্থ্য ভবন। আরও বেশি করে টিকাকরণের লক্ষ্যে এগোবে রাজ্য। দেশেও এক কোটির বেশি টিকাকরণ হয়েছে এদিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৯ জন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “এখন আমরা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি ভ্যাকসিন পাচ্ছি। তাই আজ আমরা আগের মতো ৫ লক্ষ নয়, অন্তত অন্তত ১০ লক্ষের প্রত্যাশা করেছিলাম। আমাদের সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে ১১ লক্ষ পার করে গিয়েছে। রাত পর্যন্ত এটি অবশ্যই ১২ লক্ষ ডোজ় স্পর্শ করবে। এদিন আমরা ৪ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ় ভ্যাকসিন প্রদান করলাম।”
অন্যদিকে যেদিন বাংলায় টিকাকরণে রেকর্ড তৈরি হল, সেদিনই টিকাকরণ শিবির নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এদিন বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এসেছে নবান্নে। বৈঠকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এদিন।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে কুপন ছাড়া কোনও ভাবেই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। কমপক্ষে ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপন যাঁদের কাছে থাকবে, তাঁরাই টিকাকরণ শিবিরে লাইন দেবেন। এর বাইরে কেউ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে ভিড় করতে পারবেন না। একই সঙ্গে নবান্ন সূত্রে খবর, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে টিকাকরণ শিবির করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বড় মাঠ-সহ স্কুল ভবনে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরও ভিড় হবে। আর সেই ভিড় পরিচালনা করতে হবে উদ্যোক্তাদের। প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ, আইসিডিএস কর্মীদের মাধ্যমে কুপন দেওয়া হবে এই টিকার জন্য। শুধুমাত্র কুপন দেখালেই টিকা দেওয়া হবে। কমপক্ষে এক বা দু’দিন আগেই কুপন দেওয়া হবে।
জেলায় টাস্কফোর্স তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের। সেখানে এডিএম, অ্যাডিশনাল এসপি, ডেপুটি সিএমওএইচ থাকবেন সেই টাস্ক ফোর্সে। একই সঙ্গে থানার আইসিরা যাতে তাঁদের থানা এলাকায় টিকাকরণ শিবির সম্পর্কে তথ্য রাখেন, সে বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ও থানাকে অবগত থাকতে বলা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের শিবিরের মতো ভ্যাক্সিনেশনের ক্ষেত্রেও বুথ চিহ্নিত করতে হবে বলে বলা হয়েছে। বুথ ভাগ করে ভিড় কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এদিনের বৈঠক নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা দিতে পারলে বকেয়া DA মেটানোর জন্যও উদ্যোগী হোক রাজ্য, আদালতে উঠল এমনই দাবি