লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা দিতে পারলে বকেয়া DA মেটানোর জন্যও উদ্যোগী হোক রাজ্য, আদালতে উঠল এমনই দাবি
DA: চারিদিকে লক্ষীর ভাণ্ডারে যে ভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ১ কোটি টাকা জমা রাখার আবেদন করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্যের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে হইহই জেলায় জেলায়। এই প্রকল্পে বাড়ির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বকেয়া ডিএ মামলার শুনানিতে উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পছন্দের প্রকল্পের প্রসঙ্গ।
চারিদিকে লক্ষীর ভাণ্ডারে যে ভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ১ কোটি টাকা জমা রাখার আবেদন করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের অবশ্য বক্তব্য, রাজ্য আর কোথায় যাবে! যা দেওয়ার তা রাজ্যকে দিতেই হবে। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ নিয়ে মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এজলাসে দাঁড়িয়ে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আমজাদ আলি বলেন, মামলায় পঞ্চম পে-কমিশন নিয়ে বিচার চলছে। অথচ ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ পে কমিশন বলবৎ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়টিও দেখতে হবে আদালতকে। কোটি কোটি টাকা সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া রয়েছে সরকারের কাছে।
এ নিয়ে আদালতে বক্তব্য, আপাতত যে আবেদন রাজ্য সরকার করেছে সেই বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী ধাপে ধাপে ১২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। বাকিটা নিয়েই আলোচনা চলছে। রাজ্য আবেদন করেছে। সেই আবেদন অনুযায়ী, আদালত কী পদক্ষেপ করে তারপর বাকিটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।’
আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলির কথায়, “রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আমাদের মা লক্ষ্মীদের জন্য অগাধ টাকা। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের যে বকেয়া ডিএ রয়েছে, তার জন্য টাকা নেই। রাজ্যের অ্যাডেভোকেট জেনারেল আদালতকে জানাচ্ছেন ওদের কোনও বকেয়া টাকা নেই।” কিন্তু কেন ১ কোটি টাকা চাওয়া হচ্ছে রাজ্যের কাছে। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি বলেন, “বকেয়া যে টাকাটা আমাদের আছে সেটা কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই কয়েক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সদিচ্ছা ওদের আছে কি না সেটাও দেখা দরকার। আমাদের দিতে হবে না। সেই টাকাটা আদালতের কাছে জমা রাখুক। এই সপ্তম দফার মামলাটা যত দিন না শেষ হবে!”
অন্যদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃ্দ্ধির ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদেরও ডিয়ারনেস রিলিফ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে কর্মী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ২৮ শতাংশ ডিএ বা ডিআর পাবেন। যা এতদিন ছিল ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ, এক ধাক্কায় ১১ শতাংশ বেড়েছে ডিএ। সাধারণত, বছরে দু’বার ডিএ বা ডিআর বাড়ানো হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর ডিএ এবং ডিআর বাড়েনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিএ বাড়ানো হয়নি। আরও পড়ুন: পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই ধর্মঘট প্রত্যাহার পেট্রোল পাম্প মালিকদের