Soumya Guguloth: মেয়েদের লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ইস্টবেঙ্গলের সৌম্যা গুগুলথকে চেনেন তো?
East Bengal, IWL: এখনও বাকি একটা ম্যাচ। এই লিগে ভারতীয় প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখনও সৌম্যাই। গোকুলামের জার্সি গায়ে এএফসি ওমেন্স লিগেও খেলেছেন। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুললেন।

শুভদীপ মুন্সী
কলকাতা: দীর্ঘ ২১ বছর পর লিগ চ্যাম্পিয়ন লাল-হলুদ। শেষবার ২০০৩-০৪ মরসুমে সর্বভারতীয় লিগ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আবার ভারতসেরা হল ইস্টবেঙ্গল। এতদিনের ট্রফির খরা কাটালেন লাল-হলুদের মেয়েরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ইন্ডিয়ান ওয়েমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন মশালবাহিনী। এই কাপ জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সৌম্যা গুগুলথের। যিনি লিগে এখনও পর্যন্ত করেছেন ৮ গোল। কে এই সৌম্যা গুগুলথ?
২৩ বছরের এই প্রতিভাবান ফুটবলারের জন্ম তেলেঙ্গানাতে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে বয়সভিত্তিক দল খেলছেন। দেশের হয়ে সিনিয়র দলের জার্সিতে অভিষেক ২০২১ সালে ৮ এপ্রিল। উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে তাঁর অভিষেক হয়। ২০২২ সালে ‘সাফ ওমেন চ্যাম্পিয়নশিপের’ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। এখনও অবধি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ৩৩ম্যাচ খেলে ৫টি গোল করেছেন তরুণী ফরোয়ার্ড।
কেঁকড়ে এফসির জার্সি গায়ে সৌম্যার সিনিয়র ক্লাবে পা রাখা। সেই দলের হয়ে করেছেন ৭ গোল। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ মরসুমে সই করেন গোকুলাম কেরালাতে। সেখানেও মেয়েদের আই লিগে করেছিলেন ৭গোল। মিডফিল্ডেই খেলেন মূলত। তবে উইংয়েও খেলতে পারেন। ফরোয়ার্ড হিসেবেই সাফল্য বেশি। এই সাফল্যের জন্য ক্রোয়েশিয়ার নামী ক্লাব ডাইনামো জাগ্রেব দলে সুযোগ পান। ২০২২ সালে ডাইনামোতে ট্রায়াল দেন তিনি। মনোনীতও হন। বিদেশের ক্লাবে খেলা তাঁকে আরও ধারালো করেছে। এই মরসুমে প্রায় প্রতি ম্য়াচেই সেই ছাপ রেখেছেন সৌম্যা।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ক্রোয়েশিয়ান মহিলা লিগে অভিষেক হয় সৌম্যার। ক্রোয়েশিয়ান মহিলা ফুটবল কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ডাইনামো জাগ্রেবের হয়ে প্রথম গোল করেন । পরের বছর আবার ফিরে আসেন ভারতে। সই করেন গোকুলাম কেরালাতে। ৭টি গোল করেছিলেন ওই মরসুমে। গোকুলামের দল ভেঙে একাধিক প্লেয়ার সই করায় ইস্টবেঙ্গল। সৌম্যা ছিলেন রিক্রুটারদের টার্গেট। ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে মেয়েদের আই লিগে ৮টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে গত ম্য়াচে তাঁর একমাত্র গোলে জয় পায় লাল-হলুদ। এখনও বাকি একটা ম্যাচ। এই লিগে ভারতীয় প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখনও সৌম্যাই। গোকুলামের জার্সি গায়ে এএফসি ওমেন্স লিগেও খেলেছেন। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুললেন।
এই সৌম্যা যে আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তা বলেই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সৌম্যা অবশ্য এত কিছু ভাবছেন না। তিনি প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে চান। কলকাতাতে প্রথম মরসুম খেলতে এসেই আই লিগ জেতা তাঁকে বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে। সাফল্য পেলেও আরও ট্রফির দিকে চোখ চেলেঙ্গার মেয়ের। এএফসি কাপেও চান ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্য দিতে।
