Suvendu Adhikari: ‘ওরা এক্সপার্ট, কাশ্মীরের মতোই ঠান্ডা করে দেবে…’ অশান্তি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীতেই ‘আস্থা’ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: এই মর্মেই রাজ্যজুড়ে বিচ্ছিন্ন অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি সামলা দিতে অপারগ, বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

কলকাতা: সকাল থেকে ওয়াকফ নিয়ে দফায় দফায় চড়েছে উত্তেজনা। দিন দু’য়েক আগে জঙ্গিপুরের আকাশে জড়ো হওয়া অশান্তির কালো মেঘ এখন ঝড় তুলেছে রাজ্যের আরও বেশ কিছু এলাকায়। সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ মুর্শিদাবাদ-মালদা, হুগলি জেলার একাধিক এলাকায় তৈরি হয়েছে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
এই মর্মেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি সামলা দিতে অপারগ, বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই ভিত্তিতেই বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে তড়িঘড়ি ওঠে মামলা। শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ঘটনায় সেখানে অশান্তি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন সন্ধ্যায় হনুমান জয়ন্তীর একটি মিছিলে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘রাজ্য়ের পরিস্থিতি পুলিশের হাতের বাইরে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এই সব পরিস্থিতি সামাল দিতে এক্সপার্ট। তারা শ্রীনগর, কাশ্মীরকে ঠান্ডা করেছে। যেখানে অশান্তি ছড়ায়, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলা শাসকদের নিয়ে কাজ করে।’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘দিন কয়েক ধরেই বলছি, রাজ্য পুলিশ অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। পুলিশের গাড়ি জ্বলছে, ভাঙচুর চলছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশ গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছে।’
এরপরেই সামশেরগঞ্জে অশান্তির মধ্যে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে খুনের ঘটনার কথা শুভেন্দু বলেন, ‘দু’জন কালকে পিটিয়ে মেরেছে শুনলাম। যাদের দেহ আজ গিয়ে বিএসএফ উদ্ধার করেছে।’ কিন্তু ওয়াকফকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্ন অশান্তির পিছনে মদত জোগাচ্ছেই বা কারা? বিজেপি নেতার দাবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মতো কিছু জঙ্গি সংগঠন মালদা-মুর্শিদাবাদের দখল নিয়েছে। এই পরিস্থিতি তারই ফলাফল।





