খড়দহ: তিনি যে আসছেন সে খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। অবশেষে ২ দিনের বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia)। রাজ্যে পা দিয়ে তাঁকে যেতে দেখা গেল রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে(Ramkrishna Mission)। মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করলেন গোটা মঠ। ঢুকে পড়লেন রামকৃষ্ণ মিশনের পোশাক তৈরির ঘরে। কথা বলেন দর্জিদের সঙ্গে। যান ছাত্রবাসেও।
তবে ছাত্রাবাসের দিকে যাওয়ার আগে এক শিশুকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় তাঁকে। কোলেও তুলে নেন শিশুটিকে। তারপর গোটা ছাত্রাবাস ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট মঠে সময় কাটান জ্যোতিরাদিত্য। তবে মঠে আসতে পেরে রীতিমতো খুশিই ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। জ্যোতিরাদিত্য জানান মঠে আসতে পেরে তিনি ধন্য,পরবর্তী সময়ে তিনি আবার এই রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে আসবেন।
এদিন মঠে এসে জ্যোতিরাদিত্য বলেন, “আমাদের দেশের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান কখনওই ভোলা যাবে না। এখানে এসে মহারাজের সঙ্গে যে সময় আমি কাটালাম তা কখনও ভুলব না। রামকৃষ্ণের মন্দিরও দেখেছি। যেন একটা জীবিত মুর্তির মতো রামকৃষ্ণ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব আজও এখানে প্রতিষ্ঠিত আছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিটা ব্যক্তির মনে রয়েছে তাঁর জায়গা। যে সমস্ত বাচ্চাদের গোটা বিশ্বে কেউ নেই তাদেরও দেখাশোনা হয় এখানে। এখানে এসে আমি নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে করছি। আমি মহারাজকেও বলেছি এখানে যে বাচ্চাদের জন্য যে কাজ করা হচ্ছে তা আসলে দেশসেবারই প্রতিরূপ। রামকৃষ্ণের দেখানো পথেই আমরা সকলে চলার চেষ্টা করি। দেশসেবা, জনসেবা কী করে করতে হয় তাই বারবার দেখিয়ে দেয় রামকৃষ্ণ মিশন। এটা শুধু বাংলার জন্য নয়, গোটা দেশ, গোটা বিশ্বের গর্ব। আমার খুবই ভালো লাগছে এখানে এসে।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পেয়ে মিশনের আবাসিকদের মধ্যেও খুশির অন্ত ছিল না।